Himanta Biswa Sarma | ‘চিন যদি জলপ্রবাহ কমিয়ে দেয়?’, ব্রহ্মপুত্র নিয়ে পাক হুঁশিয়ারির মোক্ষম জবাব হিমন্তের

Himanta Biswa Sarma | ‘চিন যদি জলপ্রবাহ কমিয়ে দেয়?’, ব্রহ্মপুত্র নিয়ে পাক হুঁশিয়ারির মোক্ষম জবাব হিমন্তের

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রেখেছে ভারত। এই আবহেই ‘বন্ধু’ চিনকে (China) টেনে ভারতকে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধের হুঁশিয়ারি (Brahmaputra risk) দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও এই পাক হুঁশিয়ারি নিয়ে মাথা ঘামায়নি ভারত। উলটে পাকিস্তানকে ব্রহ্মপুত্র নিয়ে মোক্ষম জবাব দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। পাকিস্তানের বানানো ‘ভয়ের গল্প’কে কার্যত পাত্তা না দিয়ে দাবি করলেন, চিন জলপ্রবাহ কমিয়ে দিলে তাতে উলটে সুবিধা হবে ভারতেরই। কারণ তা অসমের বন্যা প্রতিরোধেই সহায়তা করবে।

সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর জলসংকট দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না। এই পরিস্থিতিতেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইহসান আফজল ভারতকে হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘চিন যদি তার বন্ধুর (পাকিস্তান) সমর্থনে ব্রহ্মপুত্রের জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আটকে দেয়, তাহলে কী হবে?’

পাকিস্তানের এই দাবিই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন হিমন্ত। তিনি এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের মোট জলপ্রবাহের মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ চিন থেকে আসে। যার বেশিরভাগেরই উৎস মূলত তিব্বতের বৃষ্টিপাত ও হিমবাহ গলে তৈরি হওয়া জল। জলপ্রবাহের বাকি ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভারতের অভ্যন্তরে উৎপন্ন হয়। অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের মৌসুমি বৃষ্টিপাত জল এসে মেশে ব্রহ্মপুত্রে। সুবানসিরি, মানস, লোহিত, কামেং, ধানসিঁড়ির মতো প্রধান শাখা নদীগুলির জলেও পুষ্ট হয় ব্রহ্মপুত্র। এছাড়া খাসি, গারো এবং জয়ন্তীয়া পাহাড়ের কৃষ্ণানই, দিগারু এবং কুলসির মতো ছোট নদীও বাড়তি জল বয়ে আনে ব্রহ্মপুত্রে। ভারত-চিন সীমান্তে ব্রহ্মপুত্রের জলপ্রবাহ থাকে প্রতি সেকেন্ডে ২০০০ থেকে ৩০০০ কিউবিক মিটার। কিন্তু বর্ষার সময় অসমে এই জলপ্রবাহ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০০ থেকে ২০০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ড।’

এরপরই তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের আসল সত্যটা জানা উচিত। চিন যদি ব্রহ্মপুত্রের জলপ্রবাহ কমিয়েও দেয়, তাতে বরং ভারতেরই উপকার হবে। এতে প্রতি বছর অসমে বন্যার জেরে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তা কমবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৭৪ বছর ধরে সিন্ধু জলচুক্তির সুবিধা নিয়ে এসেছে। এখন ভারত নিজের অধিকার দাবি করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এটি তাদের মনে করিয়ে দিই যে, ব্রহ্মপুত্র কোনও একক উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। ’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *