Himachal Pradesh | দুই ভাইকে বিয়ে এক নারীর! আলোচনার কেন্দ্রে হিমাচলের শতাব্দী প্রচীন রীতি

Himachal Pradesh | দুই ভাইকে বিয়ে এক নারীর! আলোচনার কেন্দ্রে হিমাচলের শতাব্দী প্রচীন রীতি

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একই নারীকে বিয়ে করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হিমাচল প্রদেশের দুই ভাই। হিমাচলের ‘হাট্টি’ সম্প্রদায়ের এই দুই যুবক তাঁদের সম্প্রদায়ের শত শত বছরের পুরোনো এক প্রথা মেনেই এমনটা ঘটিয়েছেন। হাট্টি সম্প্রদায়ের এই প্রাচীন প্রথাটির নাম ‘জোড়িদার’।

গত ১২ জুলাই সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়। এদিন কনে সুনীতা চৌহান, প্রদীপ এবং কপিল নেগি নামের দুই ভাইকে বিয়ে করেন। তিন দিন ধরে চলে এই বিয়ের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় লোকনৃত্য, গান এবং নাচের মাধ্যমে আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। এই ‘বিরল’ বিয়ের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই ঘটনাটি দারুনভাবে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।

‘জোড়িদার’ প্রথাটি বহুবিবাহের একটি রূপ, যেখানে একজন নারী একাধিক পুরুষকে, (সাধারণত ভাইদের) বিয়ে করেন। আধুনিক সময়ে এই প্রথাটি ক্রমশ অপ্রচলিত হয়ে পড়লেও, এই ত্রয়ী এটিকে প্রকাশ্যে শুধু গ্রহণই করেননি বরং এটিকে গর্বের বিষয় বলেও উল্লেখ করেছেন। হিমাচল প্রদেশের রাজস্ব আইন অনুযায়ী ‘জোড়িদার’ প্রথাটি এখনও আইনত স্বীকৃত। তবে এটি কেবল ‘হাট্টি’ সম্প্রদায়ের মধ্যেই প্রচলিত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এই সম্প্রদায়টিকে তফসিলি উপজাতি (Scheduled Tribe) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই প্রথা এখন বিরল হলেও, এটি হিমাচলের কিন্নাউর এবং উত্তরাখণ্ডের জৌনসার বাবার-এর মতো উপজাতীয় অঞ্চলে এখনও টিকে রয়েছে। বিয়ের আচার শুরু হয় একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা সহ বরের গ্রামে আগমনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ‘সিঞ্জ’, যা বরের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পুরোহিত স্থানীয় উপভাষায় মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেন।

কেন্দ্রীয় হাট্টি সমিতির সাধারণ সম্পাদক কুন্দন সিং শাস্ত্রী জানান, এই প্রথাটি হাজার হাজার বছর পুরোনো। মূলত পৈতৃক জমি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ হওয়া রোধ করার জন্যই এই প্রথাটি তৈরি হয়েছিল । শাস্ত্রী আরও দাবি করেন, এই প্রথাটির আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল যৌথ পরিবারের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সূত্রের খবর, সিরমৌর জেলার বাধান্দা গ্রামে (Badhana village) গত ছয় বছরে এমন পাঁচটি বহুবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। যদিও ঐতিহাসিক মূল্য থাকা সত্ত্বেও, বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সাক্ষরতা (বিশেষ করে নারীদের মধ্যে) এবং উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই প্রথাটি দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *