উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : দেনার দায়ে বিষ খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ একই পরিবারের ৭ জন! গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। হরিয়ানার পঞ্চকুলার ঘটনা। পরিবারটি ঋণে জর্জরিত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরাদুনের বাসিন্দা প্রবীণ মিত্তলের (৪২) পরিবারের সদস্যরা পঞ্চকুলার বাগেশ্বর মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।
রবিবার অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের দেরাদুনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে গাড়ির ভেতরে বসে বিষপান করেন পরিবারের সাত সদস্য। স্থানীয়রা প্রথমে মিত্তল পরিবারের সদস্যদের গাড়ির ভেতরে ছটফট করতে দেখেন। তাঁরা এরপর পুলিশে খবর দেন। পুনীত রানা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিষয়টি লক্ষ্য করে এগিয়ে আসেন। তিনি প্রবীণকে গাড়ি থেকে বের করে আনেন। বাকিরা গাড়ির ভেতরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিলেন।
সেই সময় প্রবীণকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাব। আমিও বিষ খেয়েছি।’ তাঁর পরিবার দেনায় ডুবে আছে, এমনও বলতে শোনা যায় ওই ব্যক্তিকে। পরে পুলিশ পৌঁছে সাতজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে প্রবীণ ছাড়াও রয়েছেন তাঁর বাবা-মা, স্ত্রী এবং তিন সন্তান। পঞ্চকুলার পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রি কৌশিক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’ যদিও প্রবীণরা কোথা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, কেউ তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল কিনা, এনিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য মেলিনি।