হরিশ্চন্দ্রপুর: সপ্তাহ দুয়েক আগে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানা এলাকার কোরিয়ালী রাজেশ্বর মোড় অঞ্চলে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে এক সার ব্যবসায়ীর তিনটি গুদামঘর সিল করেছিল প্রশাসন। এবার সিল করা গোডাউন থেকে সার বের করে বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠল ব্যবসায়ী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে রাশেদ আলির সারের দোকানে যৌথভাবে তল্লাশি চালায় প্রশাসন ও কৃষি দপ্তর। একাধিক অনিয়ম দেখে তার তিনটি গোডাউন সিল করা হয়। এমনকি ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ সার রয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে বিহার সীমানা থেকে সার বোঝাই গাড়ি আটক করা হয়। পুলিশি জেরায় গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা স্বীকার করে নেয় রাশেদ আলি ও তার ছেলে সিল করা গোডাউন থেকে সার বের করে দিয়েছে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম, মহম্মদ নাজির হোসেন (৩০), মহম্মদ মোবারক (১৯) ও মহম্মদ আনারুল (২৬)। বাড়ি বিহারের কাঠিয়ার জেলার পরানপুর থানা এলাকায়। তাদের কাছ থেকে গাড়ি ভর্তি ২০০ বস্তা সার আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ফের রাশেদের গোডাউনে তদন্তে যান হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও সোনম ওয়াংদি লামা, সহকারী কৃষি অধিকর্তা প্রভাত উৎপল আচার্য।
যুগ্ম বিডিও বলেন, ‘সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আমরা তদন্তে এসেছি। ওই দোকান থেকে যে স্যারের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিল তার মধ্যে একটি ল্যাব থেকে রিপোর্ট এসেছে নিম্নমানের। আজকেও আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। দোকানের সিল ভাঙা হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর ছেলে মহম্মদ করিমউদ্দিন বলেন, ‘বিহারের ওই বাসিন্দারা আমাদের পুরনো খদ্দের। আমাদের গোডাউন সিল। তাই তারা সার কিনতে আসলে অন্য একজনের কাছে পাঠাই। ওরা বাবার নাম জানে বলেই হয়ত তা বলেছে।’
এদিকে এই ঘটনায় বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তৃণমূলের বড় নেতা। তাই উনি এত সাহস নিয়ে এসব কাজ করছেন।’