হরিশ্চন্দ্রপুর: সময়টা আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০১৬ সাল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার অঙ্গার মনি গ্রামে ভবতোষ সাহা নামে এক যুবককে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল সেদিন। সেই সময় ওই গ্রামের ১৯ জন ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়। সেই ঘটনার ৯ বছর পর আজ চাচল সেশন কোর্টে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হল, আগামীকাল সাজা ঘোষণা করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের কর্মী এবং আরেকজন আইনজীবী আছেন বলেও জানা গিয়েছে। তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন চাঁচল এডিজে কোর্টের অতিরিক্ত জেলা জজ সুরজিৎ দে। এদিন আদালতের রায় শুনে আদালতের ভেতরেই কেঁদে ফেলেন নিহত ভবতোষের স্ত্রী ললিতা সাহা। ললিতাদেবী বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে নিয়ে লড়াই করে গেছি। এতদিনে সফল হয়েছি। ওদের ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হলেই মনে শান্তি পাব। ওরা আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছিল। সেই ঘটনা ভুলতে পারি না।’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙ্গারমনি গ্রামে একটি মন্দিরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা দুপক্ষের মধ্যে। দুপক্ষই হিন্দু সম্প্রদায়ের। ঘটনার দিন ভবতোষ ও তার কাকাতো ভাই পূর্ণ সাহাকে কয়েকজন বাড়ি থেকে আলোচনায় বসার নাম করে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু খানিক বাদেই রাস্তার ওপরে তাদের ঘিরে মারধর শুরু হয়। পূর্ণ কোনও রকমে পালিয়ে যান। কিন্তু ভবতোষকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। এদের মধ্যে দু’জন মামলা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। সাক্ষপ্রমাণের অভাবে ছাডা় পেয়েছেন রেবতী দাস নামে এক মহিলা। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী আবদুল গনি বলেন, “মঙ্গলবার কি রায় হয়, তা আগে আমরা দেখি। সেই রায় দেখার পরেই যা বলার বলব।”