সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর পঞ্চায়েতে রোগী দেখার জন্য জেলা পরিষদ ডাক্তারদের বসার জন্য একটি চেম্বার তৈরি করে দেয়। একে একে ডাক্তাররা সকলে অবসর নিয়েছেন। ওই চেম্বার এখন ফাঁকা। গত ২০ বছর ধরে ইসলামপুরের মানুষ রীতিমতো সমস্যায় রয়েছেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর সদর, ভালুকা এবং মশালদহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করতে হয়। বিহার খুব কাছেই হওয়ায় অনেকে আবার আবাদপুর কিংবা কাটিয়ার গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, ‘ইসলামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকা ভাঙন দুর্গত। চিকিৎসাব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পঞ্চায়েত ভবনের মধ্যে জেলা পরিষদের চিকিৎসালয় আবার চালু করলে মানুষকে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর, ভালুকা এবং মশালদহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয় না। যাওয়ার দরকার পড়বে না আবাদপুর বা কাটিয়ায়।’
এই ডাক্তারখানা থেকে কুড়ি বছর আগে অবসর গ্রহণ করেছেন উদ্দালক ভট্টাচার্য। তার কথায়, ‘আমি ওখানে দীর্ঘদিন রুগি দেখেছি। আমার অবসরের পর একজন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছিল। তিনিও মারা গিয়েছেন। এখন ওই চেম্বার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকর্তা তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, ‘জেলা পরিষদের ওই ডাক্তারখানা আয়ুষ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আপাতত ডাক্তার নেই। তা না হলেও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমিউনিটি হেলথ অফিসারের মাধ্যমে টেলি মেডিসিনের সাহায্যে পরিষেবা দেওয়া হয়।’