হরিশ্চন্দ্রপুর: উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর খবরের জেরে অবশেষে বাঁশের তৈরি বিজ্ঞাপনের তোরণ খুলল হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ। অপরদিকে, এই গেট খুলে ফেলার কারণে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। থানার অদূরে থাকা এই তোরণে সিপিএমের আসন্ন এপ্রিলে ব্রিগেড সমাবেশের বিজ্ঞাপন লাগানো ছিল।
প্রশাসন গেট খুলে নেওয়ার পরে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌসের অভিযোগ, ‘ওই তোরণে সিপিএমের কর্মসূচির পোস্টার লাগানো ছিল বলেই শাসকদলের প্রশাসন ইচ্ছে করেই গেটটি খুলে নিয়েছে। কিন্তু এখনও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর শাসকদলের নেতাদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ফুটবল টুর্নামেন্টের গেট শোভা পাচ্ছে। সেটা নিয়ে পুলিশের কোনও মাথাব্যথা নেই। আমরা চাই কোনও দল না দেখে পুলিশ এই ধরনের বিপজ্জনক গেট খুলে দিক।’
যদিও ওই টুর্নামেন্টের মূল উদ্যোক্তা তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা মক্রম আলির পালটা বক্তব্য, ‘এই গেট নিয়ে পুলিশ প্রশাসন আমাদেরকে জানিয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই গেট খুলে নেব এবং সেটা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই খুলব, সিপিএমের দাবি মেনে নয়।’
গত সপ্তাহে চাঁচল সদর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ভেঙে পড়ে এমনই এক বাঁশের তোরণ। এই ঘটনায় দুজন আরোহী গুরুতর জখম হন। এরপরই মহকুমাজুড়ে রাস্তার উপর থাকা বিপজ্জনক ও প্রশাসনের অনুমোদনহীন তোরণ নিয়ে সরব হন স্থানীয়রা। খবর প্রকাশিত হয় উত্তরবঙ্গ সংবাদের পাতায়। আর এরপরই বাধ্য হয়ে প্রশাসন থানার অদূরে থাকা বিজ্ঞাপনের তোরণ খুলে নেয়। এদিকে সিপিএম’এর ব্রিগেড সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের গেট খুলে নেওয়ার পরেই এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার যেখানে -যেখানে এই ধরনের গেট করা হয়েছে আয়োজকদের বলা হয়েছে অবিলম্বে গেট খুলে নিতে। না হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’