সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই জেলা শাসকের নির্দেশে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হল। মঙ্গলবার অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। যদিও পলাতক রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। দফায় দফায় গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়।
বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানালেন, ‘গতকাল ওই ভাইরাল ভিডিও দেখার পরে আমি নিজেই তদন্তে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ইতিমধ্যেই দুজনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। আমি গতকালই থানায় অভিযোগ দায়ের করি ওই পঞ্চায়েত সদসস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে।’ যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।
সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বড়ই পঞ্চায়েতের গহিলা গ্রামের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দাস (রায়ের) স্বামী সুপেন রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক উপভোক্তার কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়ার নির্দেশে বিডিও গহিলাতে তদন্তে যান। তদন্ত করে তাঁরা জানতে পারেন, দুজন উপভোক্তা ইতিমধ্যেই কাটমানি দিয়েছিল। বাকি আরও অনেকের কাছেই চাওয়া হয়েছিল। এমনকি এক বৃদ্ধার কাছ থেকে সিএসপির স্লিপে টিপছাপ নিয়ে যে টাকা তোলার চেষ্টাও হয়েছিল। সেখানেও যান আধিকারিকরা। যদিও সেই সিএসপি বন্ধ ছিল। তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে সুপেন রায়কে পায়নি পুলিশ। তাঁর পরিবারের লোকেরা পুলিশ আসার কথা স্বীকার করল আসার কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
ওই কংগ্রেস সদস্যের স্বামী সুপেনের বৌদি ঝরনা রায় জানালেন, ‘আজকে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। কেন এসেছিল বলতে পারছি না। আর যাঁদের খোঁজে এসেছিল, তাঁরা বাড়িতে নেই।’