হরিশ্চন্দ্রপুরঃ বেহাল অবস্থা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবাধ বিচরণ ছাগল কুকুর বেড়ালের। রোগীদের বেডের নিচে দিব্যি দিন-রাত কাটিয়ে দিচ্ছে এই গৃহপালিতরা। শুধু তাই নয়, এরা হাসপাতালের ভেতরেই মলমুত্র ত্যাগ করছে। রোগীর বিছানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে ছাগল এমন ভিডিও হরিশ্চন্দ্রপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এরফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল। প্রত্যেকদিন তিনশো থেকে চারশো রোগী হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে বেডের সংখ্যা মাত্র ৬৫। নেই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক ওয়ার্ড। যার ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলারা। হাসপাতালে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীও নেই। হাসপাতালের অভ্যন্তরের ছবি দেখলে আঁতকে ওঠার পরিস্থিতি। নল থেকে পড়ছে না জল। চারিদিকে আগাছা। শৌচালয়ের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। ভেতরে নেই আলো। হাসপাতালের অভ্যন্তরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা। পড়ে থাকছে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। রোগীরা পাচ্ছে না বেডের চাদর। আরও অভিযোগ, বেশির ভাগ ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। যদিও তাজমুলের সাফাই, ‘এরকম তো হওয়ার কথা নয়, আমি অতি অবশ্যই বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি এবং কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটা দেখা হবে।’