হরষিত সিংহ, হবিবপুর: সেচের ব্যবস্থা নেই। তাই বছরে একবার কৃষিকাজ হয়। তাতেই নির্ভরশীল একাধিক পরিবার। এছাড়া এলাকায় তেমন কোনও সমস্যা নেই।
জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়ার কানে যেতেই তিনি সেচ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। তার চেয়ে বড় বিষয় এই সমস্যার কথা শোনাতে এলাকার বাসিন্দাদের জেলা শাসকের দুয়ারে আসতে হয়নি। শুক্রবার জেলা শাসক হবিবপুর ব্লক প্রশাসনের এক প্রতিনিধিদলকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘোরেন। শোনেন মানুষের সমস্যার কথা। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন হবিবপুরের কাতলাপুকুর গ্রামে রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ে জেলা শাসকের কনভয়। জেলা শাসক গাড়ি থেকে নেমে একটি সেলুনে ঢোকেন। সেখানে কয়েকজন স্থানীয় বসেছিলেন। তাদের সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। বাসিন্দারা বলেন, বিদ্যুৎ, রাস্তা সমস্ত কিছুই রয়েছে। তবে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় বছরে একবার চাষ হয়। অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা শাসক।
হবিবপুর ব্লকের জাজইল ও কানর্তুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকায় ঘুর দেখেন। দুটি পঞ্চায়েতের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি, প্রাথমিক স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, র্যাশন দোকান পরিদর্শন করেন। এলাকার সারের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকানেও হানা দেন।
সমস্ত কিছু দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা শাসক সহ অন্যরা। হবিবপুর ব্লকের মানিকোড়া কালীমন্দিরে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের আশ্বাস দেন নীতিন সিংহানিয়া। মানিকোড়া কালীমন্দির পরিদর্শনে যান। এই মন্দির প্রাঙ্গণে বড় রাস্তা, পানীয় জল, শৌচালয় ও লাইট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে দ্রুত সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও মানিকোড়া কালীমন্দির প্রাঙ্গণে কিছু উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’