H-1B Visa | ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসানীতি: উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের!

H-1B Visa | ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসানীতি: উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের!

ব্লগ/BLOG
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ভিসানীতি (H-1B Visa) ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার ট্রাম্প একটি নতুন নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন। এই নির্দেশনামা অনুযায়ী, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে মার্কিন সংস্থাগুলোকে এখন থেকে বছরে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) ফি দিতে হবে। আশা করা হচ্ছে, এই বিশাল পরিমাণ ফি-এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয় কর্মীরা, কারণ এই এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তাঁরাই।

শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, এই নতুন ভিসানীতির ফলে এইচ-১বি ভিসাধারীদের পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাঁরা মার্কিন প্রশাসনকে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও জানান হয়েছে যে, ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট মহল, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ভারতীয়রা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ভারত থেকে ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। উল্লেখ্য, অ্যামাজন এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলো ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ১২ হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছে, যেখানে মাইক্রোসফট ও মেটার মতো সংস্থাগুলো পাঁচ হাজার করে আবেদন মঞ্জুর করেছে।

ট্রাম্পের এই কঠোর নীতি দেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি, এই নীতির ফলে আমেরিকান শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত হবে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে মার্কিন মলুকে বিদেশি দক্ষ কর্মীর অভাব দেখা দিতে পারে এবং দেশটির উদ্ভাবনী ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *