উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার ভোরে গুজরাটের ভাদোদরা জেলায় ৪০ বছরের পুরনো সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১। এদিন গম্ভীরা সেতুটি ভেঙে একাধিক গাড়ি মহিসাগর নদীতে পড়ে যায়, যার ফলে একই পরিবারের তিনজন সহ কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হন। ভাদোদরার পুলিশ সুপার রোহন আনন্দ জানান, আরও তিনজন তলিয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকালিবা বাহিনী, এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে নদীতে তল্লাশি চলছে। নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাদরা রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মধ্য গুজরাট, দক্ষিণ গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্রকে সংযুক্তকারী ৪০ বছরের পুরনো সেতুটি ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। সেতুটি তৈরি করতে খরয় হয় ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ গম্ভীরা সেতুটিতে ২৩টি স্তম্ভ রয়েছে। লখনউ-ভিত্তিক ইউপি স্টেট ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সেতুটি তৈরি করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় সেতুর দুই স্তম্ভের মধ্যে আস্ত একটি স্ল্যাব ভেঙে পড়ে৷ সেতুটি ভেঙে পড়ায় সৌরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্য এবং দক্ষিণ গুজরাতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ সৌরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ গুজরাতের দূরত্ব মধ্যে দূরত্বে বেড়ে হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার৷ গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চার দশরের পুরনো এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ৷
এর আগে ২০২২ সালে গুজরাটে ব্রিজ বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৩৪ জন। আহত হন অনেকে। গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতু ভেঙে পড়ে। মোরবির ১৪০ বছরের পুরোনো ওই ঝুলন্ত সেতু ৭ মাস ধরে সংস্কার করা হচ্ছিল। অভিযোগ উঠেছিল কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছিল ওই সেতু। এদিনের এই ঘটনায় ফের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।