উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) বরোদায় দ্রুত গতিতে থাকা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার (Accident)। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত গাড়ির চালক ২০ বছর বয়সি তরুণ রক্ষিত চৌরাসিয়া। তবে গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপ অবস্থায় (Drunk) থাকার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, ওই সময় চালকের আসনের এয়ারব্যাগ (Emergency airbag) খুলে যাওয়ায় তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। যার ফলেই নাকি দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এমনকি দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বরোদার করেলিবাগ এলাকার কাছে। হোলি উপলক্ষে একটি উৎসব থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অভিযুক্ত রক্ষিত এবং তাঁর বন্ধু। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন রক্ষিত। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। এমনকি এতজনকে ধাক্কা মারার পর গাড়ি থেকে নেমে অভিযুক্ত তরুণ চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আরও এক বার হয়ে যাক’।
দুর্ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত রক্ষিত এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারির পর পুলিশ দাবি করেছিল, অভিযুক্ত তরুণ মদ্যপ অবস্থায় এবং দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবার রক্ষিত বলেন, ‘আমি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাইনি। আমাদের আগেই একটি স্কুটি ছিল। রাস্তার ডানদিকে মোড় নিতেই সেখানে একটি গর্ত ছিল। সেটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই রাস্তার পাশে রাখা একটি স্কুটি এবং গাড়িতে হালকা ঘষা লাগে। আর তাতেই এয়ারব্যাগ খুলে যায়। এরপর গাড়ি কোন দিকে গিয়েছে আমি বুঝতে পারিনি।’ ঘটনার সময় গাড়ির গতি প্রতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার ছিল বলেও দাবি করেছে রক্ষিত। এছাড়াও প্রথমে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর কথা অস্বীকার করলেও পরে অভিযুক্ত স্বীকার করেন যে, তিনি ভাং খেয়েছিলেন।
অভিযুক্ত সত্যিই মদ্যপ ছিলেন কিনা তা জানতে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, এই ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রক্ষিত। এমনকি আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তিনি। এর জন্য পরিবারগুলি যা শাস্তি দেবে, তা তিনি মেনে নিতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।