উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পণ্য ও পরিষেবা করের যৌক্তিকীকরণ (GST rationalisation)-কে “স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের সর্ববৃহৎ সংস্কার” বলে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, এই সংস্কারের ফলে একাধিক পণ্যের ওপর করের হার কমানো হবে এবং পাউরুটি, জীবনদায়ী ওষুধসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হবে। জিএসটি কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত আগামী ২২ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে।
এদিন জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই জনগণ এই সংস্কারের সুবিধা পেতে শুরু করবে। এবার ধনতেরাস আরও বেশি উজ্জ্বল হবে। এটি স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় সংস্কার।” তাঁর বক্তব্যে তিনি এটাও স্পষ্ট করেন যে, তিনি লালকেল্লা থেকে দীপাবলি এবং ছট পূজার আগে “ডাবল ধামাকা” জিএসটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই জিএসটি সংস্কারে “পঞ্চরত্ন” অন্তর্ভুক্ত হয়েছে— একটি সহজ কর ব্যবস্থা, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ভোগ ও বৃদ্ধির প্রসার, ব্যবসা সহজ করার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নত ভারতের জন্য কোঅপারেটিভ ফেডেরালিসম (cooperative federalism)-কে শক্তিশালী করা। এই প্রসঙ্গে তিনি বিরোধী দল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে জানান যে, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, খাদ্য ও ওষুধের মতো সব কিছুর ওপর কর বসিয়েছিল।
গতকাল জিএসটি কাউন্সিল দ্বারা ঘোষিত এই সংস্কারের ফলে খাদ্য, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, কৃষিজ পণ্য, ছোট গাড়ি এবং বাইকসহ একাধিক পণ্যের ওপর কর কমানো হয়েছে। জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা, জীবনদায়ী ওষুধ এবং পাউরুটি ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সামগ্রীকে সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়েছে।