হরষিত সিংহ ও সাজাহান আলি, মালদা ও বালুরঘাট: মালদা (Malda) জেলায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Greater Secondary Examinee) সংখ্যা কমল প্রায় ১০ হাজার। এক বছরে মালদা জেলায় কমেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এই বছরেও ছেলের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার কারণ হিসাবে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা কম দিয়েছিল করোনা’র জন্য। শুধুমাত্র মালদা জেলা নয়, এই বছর গোটা রাজ্যজুড়েই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিসংখ্যান অনেকটাই কমেছে বলে দাবি পর্ষদের। আগামী বছর থেকে আবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলছেন শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা। গত দুই তিন বছরে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে হঠাৎ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা জেলায় কম হওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা শিক্ষামহল।
এই বছর ৩ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর মালদা জেলায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৫১ জন। গত বছর মালদায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৩২৭ জন। এই বছর প্রায় দশ হাজার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবছর মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৫১৩ জন। ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪,১৩৮ জন। মালদা জেলায় পরীক্ষা সেন্টার ১৭টি। পরীক্ষার ভেনু ১২২টি।
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ১০টি মেইন ভেনুর অধীনে সাব-ভেনু রয়েছে ৪৫টি। সব মিলিয়ে জেলায় ৫৫টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত বছর ছিল ১৩,১১৪ জন। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯,০৪৮। এর মধ্যে স্পেশাল পরীক্ষার্থীরাও রয়েছেন। এবার ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪,০৪০ জন, ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫,০০৮ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এর মূল কারণ, ২০১৭ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সরকারি তরফে বয়সের যে নিয়মাবলি ছিল তাতে বহু সংখ্যক চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ পড়ুয়া সেবছর ভর্তি হতে পারেনি। পরের বছর থেকে অবশ্য বিষয়টি শিথিল হয়ে যাওয়ায় যথারীতি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। পরীক্ষার্থী কম হওয়ায় এবছর বালুরঘাট মহকুমার পাঁচটি মেইন ভেনুর অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,৪০৮ জন, অন্যদিকে, গঙ্গারামপুর মহকুমায় পাঁচটি মেইন ভেনুর অধীনে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫,৬৪০ জন।
গোপালগঞ্জ রঘুনাথ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রমোহন পাল বলেন, ‘এক বছর পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সরকারি নিয়মে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকায় সেবছর অনেক কম পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পেরেছিল। তাই এবছর পরীক্ষার্থী অনেকটা কম।’