পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি : কিউআর কোড স্ক্যান করলেই গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে থাকা সংরক্ষিত জঙ্গল সম্পর্কে এখন যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন পর্যটকরা। ফেসবুক পেজে ঢুকলেই বন দপ্তরের ওয়েবসাইটের লিংক পেয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে এই কিউআর কোড চালু করা হলেও তার আপগ্রেডেশনের অনেক কাজ বাকি আছে। কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পাশাপাশি যে কেউ কোনও সমস্যার কথা বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। পরবর্তীতে ইকো কটেজ বুকিং করাও যাবে এর মাধ্যমে।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে চাপড়ামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। পর্যটকরা লাটাগুড়ি প্রকৃতি পরিচিতিকেন্দ্র ও মূর্তির টিকিট কাউন্টার থেকে বিভিন্ন ওয়াচটাওয়ারে ডে ভিজিটের টিকিট নিয়ে থাকেন। কিউআর কোড স্ক্যান করে কোন ওয়াচটাওয়ার কত দূর, সেখান থেকে কী দেখা যেতে পারে, কোন কাউন্টার থেকে কোথায় প্রবেশের টিকিট পাওয়া যাবে, এমন সব তথ্য জানা যাবে। তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কী দেখা যাবে, কোথায় ইকো কটেজগুলি রয়েছে, এলিফ্যান্ট সাফারি, সেলফি পয়েন্ট, হাতিকে স্নান করানো, মোষের গাড়িতে ওয়াচটাওয়ারে ভ্রমণ করার মতো নানা তথ্য পাবেন পর্যটকরা। থাকছে নেওড়াভ্যালির রাচেলা ভিউপয়েন্টে কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য। আপগ্রেডেশনের পর কোন ইকো কটেজ খালি রয়েছে, বুকিং কীভাবে পাওয়া যাবে, তাও জানা যাবে।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, কিউআর কোড স্ক্যান করে পরিষেবার বিষয়ে যেমন জানা যাবে, তেমনই পর্যটকরা নিজেদের প্রশ্ন রাখতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টা এই পেজ মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যটকদের করা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সমস্যার সমাধান তৎক্ষণাৎ করে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে কটেজ বুকিংয়ের সুবিধা খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।
এই কিউআর কোড বন্যপ্রাণ বিভাগের বিভিন্ন স্পটে ছোট ছোট স্ট্যান্ডে রাখা হবে, যাতে পর্যটকরা নিজের মোবাইলে স্ক্যান করে চটজলদি পেজে ঢুকে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পান। প্রয়োজনীয় হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্কোয়াডের পরিচিতি ও যোগাযোগের নম্বরও এখানে পাওয়া যাবে। থাকবে জঙ্গলের ভিতর ও বাইরের এলাকায় ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু নিয়মবিধি।