পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি : বিশ্বকর্মাপুজোর পর থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প থেকে মূর্তি নদীতে কুনকি হাতির স্নানের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। তুলতে পারবেন ছবিও। শুধু ক্যাম্পের কটেজে থাকা পর্যটকরাই নন, ডে ভিজিট করতে আসা পর্যটকরাও সেই সুযোগ পাবেন। মাথাপিছু খরচ পড়বে ১৫০ টাকা। প্রতিদিন ২০ জন পর্যটককে এই সুযোগ দেওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গে একমাত্র ধূপঝোরাতেই কুনকি হাতিদের স্নান করানোর সময় পর্যটকদের উপস্থিতির অনুমোদন রয়েছে। বাম জমানা থেকে এই জায়গাতেই পর্যটকদের সুযোগ দেওয়া হত হাতিদের স্নান করানোর। হাতির গায়ে মাখানো যেত সাবান, করা যেত জলকেলি। কিন্তু জলদাপাড়া ও গরুমারায় মাহুতের উপর কুনকির আক্রমণের ঘটনার পর বন দপ্তর নড়েচড়ে বসে। কোভিড পরিস্থিতির আগেই হাতিকে স্নান করানোর সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল বন দপ্তর। তবে এবারের নিয়ম অনুযায়ী, হাতির ধারেকাছে ঘেঁষা যাবে না। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে শুধু স্নান করানো দেখা যাবে।
গরুমারার এডিএফও রাজীব দে জানান, ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে বিশ্বকর্মাপুজোর পর থেকে হাতির স্নানের দৃশ্য পর্যটকদের উপভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চারটি কটেজের ১২ জন আবাসিক পর্যটকের মধ্যে ১২ জনের টিকিটের কোটা আলাদা করে বাকি আটটি টিকিট বাইরের পর্যটকদের জন্য দেওয়া হবে। কটেজের আবাসিক কেউ টিকিট না কাটলে বাইরের পর্যটকদের জন্য সেক্ষেত্রে কোটা বাড়বে।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘জঙ্গল সাফারিতে অনেক সময় হাতির দেখা পান না পর্যটকরা। এক্ষেত্রে ধূপঝোরায় হাতিদের স্নান করানো অনেকেই দেখতে চাইবেন। বাইরের পর্যটকদের জন্য কোটা বাড়ানো হলে পর্যটন ব্যবসা গতি পাবে।’