শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: খোঁজ মিললেও পিলখানায় (Pilkhana) ফেরানো সম্ভব হল না রামিকে। বনকর্মীরা তার সামনে গেলেই দৌড়ে পালাচ্ছে। বাধ্য হয়ে জঙ্গলের মাঝে অন্য কুনকি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাকে। পালা করে বনকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে প্রিয় খাবার। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় পিলখানায় রামিকে ফেরাতে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বন দপ্তর। আপাতত গরুমারার (Gorumara) গড়াতি বিটের কাছে পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে।
গরুমারার ডিএফও রাজীব দে বলছেন, ‘এর আগেও রামি জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন পর অবশ্য সে ফিরে এসেছিল। এবার তাকে নজরে রাখা হচ্ছে। মতিগতি বুঝে রামিকে পিলখানায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনদিন ধরে পিলখানার বাইরে রয়েছে গরুমারার কুনকি রামি। পূর্ণবয়স্ক হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা এবং সে যে কোনও সময় সন্তান প্রসব করতে পারে বলে বন দপ্তর সূত্রে খবর। ঠিক এই পরিস্থিতিতে কীভাবে হাতিটি পিলখানা থেকে পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবারও হাতিটিকে মূর্তি নদীতে স্নান করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন মাহুত। ফেরার সময় হঠাৎই মুড বিগড়ে যায় রামির। মাহুত কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই গভীর জঙ্গলে চলে যায় সে।
তারপর থেকে শুরু হয় রামিকে খোঁজার পালা। সোমবার তাকে দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু বনকর্মীরা তার পাশে গেলেই হাতিটি গভীর জঙ্গলে ছুটে যাচ্ছিল।
ডিএফও জানান, যে স্থানে রামি রয়েছে, সেখানে বনকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু হাতিটির সামনে কোনও বনকর্মী গেলেই সে পালিয়ে যাচ্ছে। তাই গরুমারার বাকি কুনকিদের দিয়ে তাকে ঘিরে রাখা হয়েছে। মন ভোলাতে তার প্রিয় খাবারও দেওয়া হচ্ছে।