গাজোল: সুপ্রিম নির্দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হওয়ায় চরম সংকটে গাজোল (Gazole) ব্লকের বহু স্কুল। এদিন বেশ কিছু স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতেও এর যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। কোনও স্কুলে এমন অবস্থা যে ঘণ্টা বাজানোর কাজ করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। তেমনি এক প্রান্তিক স্কুল বাদনাগরা হাইস্কুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বংশী সিং জানান, ৭০০ ছাত্রছাত্রীর স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৮ জন। তার মধ্যে চাকরি বাতিল হয়েছে পাঁচজনের। দুইজন শিক্ষাকর্মী, তাদেরও চাকরি যাওয়ায় বর্তমানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব কাজই করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। এমনকি ঘন্টাও বাজাতে হচ্ছে তাঁকেই।
খুবই খারাপ অবস্থা গারাধুল হাইস্কুলেরও। ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে চাকরি বাতিল হয়েছে ৬ জনের। এদের মধ্যে অংক এবং ইংরেজির দুইজন করে শিক্ষক রয়েছেন। ভূগোল এবং সংস্কৃত বিভাগের রয়েছেন একজন করে শিক্ষক। এছাড়াও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গিয়েছে চাকরি বাতিল হয়েছে গাজোল হাইস্কুলের ৪ জন শিক্ষক, একজন শিক্ষাকর্মীর, শিউ চাঁদ পরমেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের তিনজন শিক্ষক, ময়না হাইস্কুলের ৬ জন শিক্ষক, রানিগঞ্জ কৃষ্ণচন্দ্র হাইস্কুলের ৫ জন শিক্ষক, আলাল হাইস্কুলের ৩ জন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষাকর্মী, বাবুপুর হাইস্কুলের দুইজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষাকর্মী, তরিকুল্লা সরকার হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দুই জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। বৈরডাঙ্গি হাইস্কুলের ৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিল হয়েছে চাকনগর হাইস্কুলের ৫ জন শিক্ষক এবং দুইজন গ্রুপ ডি কর্মীর। সব মিলিয়ে এবার প্রায় প্রতিটি স্কুলই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সংকটে ভুগতে চলেছে।