গয়েরকাটা: ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গয়েরকাটায় (Gayerkata) হাটশেড নির্মাণ শুরু হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অর্থানুকূল্যে ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাটের কাজ হচ্ছে। তা এখন প্রায় শেষ লগ্নে। একইসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তরফে গয়েরকাটা হাটে পেভার্স ব্লক বসিয়ে রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। জোড়া কাজে হাটের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও শেষ হয়নি শৌচাগার ও মাছ হাটের শেডের কাজ। সেগুলি দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত গয়েরকাটা হাট ডুয়ার্সের একটি পুরোনো হাট হিসেবে পরিচিত। এর ওপর গয়েরকাটা সহ আশপাশের কয়েকটি চা বাগানের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। হাটের পুরোনো শেডগুলি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ছিল। যার ফলে হাট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা হাটের হাল ফেরাতে প্রশাসনিক মহলে দাবি জানান৷ এরপর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে হাটশেড নির্মাণ শুরু হয়। গয়েরকাটা হাটের কাপড় ও বই-ব্যাগপত্র বিক্রির নির্দিষ্ট জায়গায় ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে আটটি শেড। মাছ হাটে শেড নির্মাণের কাজ এখনও চলছে। কাজ শেষ হলে হাটের বেহাল দশা ঘুচবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলছেন, ‘হাটের দখল হওয়া কিছু জমি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি যে শেড ও রাস্তা নির্মাণ হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সুবিধা হবে। হাটের ফাঁকা জায়গায় আরও কিছু শেড নির্মাণের জন্য আমরা মন্ত্রী উদয়ন গুহকে অনুরোধ করব। এছাড়া বাকি কাজ দ্রুত শেষের ব্যাপারেও আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আর্জি রাখব।’
হাটের ব্যবসায়ী মৈনাক ঘোষের বক্তব্য, ‘আগে এই হাটে জলকাদার খুব সমস্যা ছিল। রাস্তা ও শেড নির্মাণ হওয়ায় বর্ষায় এই সমস্যা অনেকটা মিটবে বলে মনে হচ্ছে।’ হাটের সবজি ব্যবসায়ী কমল শা বলছেন, ‘রাস্তায় আগে জল জমে থাকত। দোকানদারিতে সমস্যা হত। এখন সেই সমস্যা ঘুচবে।’
গয়েরকাটা হাট ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক মনোজ পাটোয়া বলেছেন, ‘কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ক্রেতারাও ধীরে ধীরে হাটমুখী হবেন বলে আমরা আশাবাদী। যে সমস্ত কাজ বাকি আছে, সেগুলি যাতে দ্রুত শেষ হয় সেই দাবি প্রশাসনের কাছে রাখব।’