দুবাই: ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার হয়ে ব্যাট ধরলেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির পাশে দাঁড়ালেন। আর সবশেষে সমালোচকদের পালটা আক্রমণ করলেন টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যর গৌতম গম্ভীর। নিজে যখন ক্রিকেট খেলতেন, তাঁর মধ্যে আগ্রাসনের কোনও অভাব ছিল না। ক্রিকেট পরবর্তী জীবনে কোচের ভূমিকাতেও গম্ভীর একইরকম। আগ্রাসী। আগ্রাসনের শেষ কথা। ভারতীয় কোচের আগ্রাসন তাঁর দলের অন্দরেও প্রবলভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতি ম্যাচে।
টানা চারটি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। আর এই চার ম্যাচে ভারত অধিনায়ক রোহিতের ব্যাটে অবদান ১০৪। ফর্মের বিচারে হিটম্যান দারুণ জায়গায় রয়েছেন এমন নয়। ফলে সমালোচনাও হচ্ছে। গম্ভীর দর্শন অবশ্য ভিন্ন। তাঁর কথায়, ‘আপনারা, সাংবাদিকরা রান বা পরিসংখ্যান দেখে রোহিতের বিচার করেন। আমি বা আমরা দেখি মাঠের রোহিতের প্রভাব। আর কয়েকদিন পরই প্রতিযোগিতার ফাইনাল। তার আগে একটাই কথা বলতে পারি, দলের অধিনায়ক শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করলে সাজঘরে পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হয়। আমরা বরাবরই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই। সেই লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য অধিনায়ককে পজিটিভ থাকতেই হবে। বাইরের কে বা কারা কী বলল, তা নিয়ে আমরা ভাবি না।’ অধিনায়ক রোহিতের মতোই সমালোচনায় বিদ্ধ কোহলিও। পাকিস্তান ম্যাচে শতরান করেছেন। গতকাল রাতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেছেন তিনি। তারপরও কোহলির লেগস্পিন দুর্বলতা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। গুরু গম্ভীর যাবতীয় সমালোচনা উড়িয়ে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আপনি ৩০০টা একদিনের ম্যাচ খেললে কয়েকবার তো স্পিনারের বলে আউট হবেনই। তাতে সমস্যা রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। ভুলে যাবেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি শতরানের পাশে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও ৮০-র বেশি রান করেছে। একজন ব্যাটার রান করুক না না করুক, কোনও বোলারের বলে তো আউট হতেই হবে। তাই লেগস্পিনের বিরুদ্ধে কোহলি কেন আউট হচ্ছে, বিষয়টাই অর্থহীন। ৩০০টা ম্যাচ খেললে কোনও নির্দিষ্ট বোলারের বলে একাধিকবার আউট হতেই হয়।’
দলের দুই সেরা ব্যাটারের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে দুবাইয়ে ভারতের সব ম্যাচ খেলার বাড়তি সুবিধা নিয়েও মুখ খুলেছেন কোচ গৌতম। সমালোচকদের কাজ শুধু বকবক করা বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দুবাইয়ে সব ম্যাচ খেলছি বলে আমরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছি, এমন কথা শুনছি। আমার প্রশ্ন কীসের সুবিধা? যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে আমরা একদিনও অনুশীলন করিনি। যেখানে অনুশীলন করছি, সেই আইসিসির অ্যাকাডেমির মাঠের সঙ্গে দুবাই স্টেডিয়ামের কোনও মিলই নেই। আসলে কিছু মানুষের কাজই শুধু বকবক করা, ওরা করুক। আমাদের কিছু যায় আসে না। মনে রাখবেন, দুবাই বাকি দলগুলির মতো আমাদের জন্যও নিরপেক্ষ মাঠ।’ ঋষভ পন্থ ভারতীয় সাজঘরে বসে। অথচ, লোকেশ রাহুল খেলছেন নিয়মিত। কেন? এবার আরও চাঁছাছোলা ভাষায় সমর্থকদের পালটা গম্ভীরের। তাঁর কথায়, ‘একদিনের ক্রিকেটে রাহুলের গড় প্রায় ৫০। এটাই আমার জবাব। বাইরের দুনিয়ায় কে, কী বলল, পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। শুধু ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে সৎ থাকতে চাই।’