গঙ্গারামপুর: মা বকাবকি করেছিল। কিন্তু মায়ের বকুনি মেনে নিতে পারেনি মেয়েটি। তাই, অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সাহানা খাতুন (১৪)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গঙ্গারামপুরের গচিয়ার গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে সাহানা সবথেকে ছোট। গঙ্গারামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ত সে। ঘটনার দিন সাহানার দিদি পিসির বাড়ি যাচ্ছিল। সেও দিদির সঙ্গে পিসির বাড়ি যাবার জন্য পিছু নিয়েছিল। কিন্তু তার মা বকাবকি করেন। বকুনি খেয়ে মায়ের ওপর অভিমানে বুধবার রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হবার চেষ্টা করে সাহানা। ঘরে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত দেহ দাদার নজরে আসে। তার চিৎকার-চ্যাঁচামেচিতে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্যরা। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা সেখানে সাহানাকে মৃত বলে জানান। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতের আত্মীয় আবু তালেব মিয়াঁ বলেন, ‘দিদির সঙ্গে পিসির বাড়িতে যাবার জন্য জেদ ধরেছিল। ওর মা যেতে না দেওয়ায় অভিমানে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। মেয়েটি লেখাপড়াতে খুব ভালো ছিল। মায়ের বকুনিতে এমন ঘটনা ঘটাবে ভাবতেই পারছি না। ভীষণভাবে আমরা শোকাহত।’
গঙ্গারামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা সরকার বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সমাজমাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। যার ফলে বাবা মা কিছু বললেই আত্মঘাতী হবার পথ বেছে নিচ্ছে। এটা ভীষণ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা শোকাহত।’
বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আপাতত প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।