হিলি: মাছের হ্যাচারিতে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করল এক বাংলাদেশিকে। ধৃত ব্যক্তি চোরাপথে ভারতে এসে তিন বছরের বেশি হ্যাচারির ‘ডাক্তার’ সেজে ছিলেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই হ্যাচারির মালিককেও। ধৃতের নাম অমৃত দাস (৩৮) ওরফে হরেকৃষ্ণ৷ বাড়ি ধলপাড়া। আর ভুয়ো আধার কার্ডে এদেশে থাকা ওই বাংলাদেশির নাম শ্যামকুমার সাহা (৪২)। বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁয়। একইসঙ্গে ধরা পড়েছে একটি বেসরকারি ব্যাংকের আধার কার্ড বিভাগের কর্মী অলোক পাল। তাঁর বাড়ি কিসমতদাপট গ্রামে।
গত চার বছর ধরে শ্যামকুমার সাহা এদেশে মাছের হ্যাচারিতে ডাক্তারের কাজ করছিলেন। আর তাঁকে ঢাল করে হিলিতে মাছ ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন অমৃত দাস। শ্যামকুমারের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দেন অমৃত দাস। সাহায্য করেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী অলোক পাল, নির্বিবাদে চলছিল ব্যবসা। তাল কাটল বুধবার।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ওই মাছের হ্যাচারিতে হানা দেয় হিলি থানার পুলিশ। আটক করে ছদ্মবেশী ভারতীয় শ্যামকুমারকে থানায় এনে পুলিশ শুরু করে ম্যারাথন জেরা। বয়ানে অসংগতি মেলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জেরায় সে জানায় তাঁর ভুয়ো আধার কার্ডটি তৈরি করে দিয়েছেন অমৃত দাস। পুলিশ পরে অমৃত দাসকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জেরা করে পুলিশ খোঁজ পায় বেসরকারি ব্যাংকের আধার কার্ড বিভাগের কর্মী অলোক পালের। পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে। তিন জনকে দফায় দফায় জেরা করে চক্রের সন্ধান করছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।