Firhad Hakim | ‘আর্মি অফিসারকে যখন টেররিস্টের বোন বলে তখন আপনারা চুপ থাকেন’, অনুব্রতর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ফিরহাদ

Firhad Hakim | ‘আর্মি অফিসারকে যখন টেররিস্টের বোন বলে তখন আপনারা চুপ থাকেন’, অনুব্রতর ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ফিরহাদ

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বোলপুর থানার আইসিকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondol) কদর্য ভাষায় আক্রমণের ঘটনায় কার্যত মিডিয়াকেই কাঠগড়ায় তুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ঘুরিয়ে হলেও পাশে দাঁড়ালেন ‘বীরভূমের বাঘ’ কেষ্টর । এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উশৃঙ্খলা পছন্দ করেন না। কেউ আইনের উর্ধে নন। তাকে দলের তরফ থেকে সতর্কও করা হয়েছে়।”

দায়সারা ভাবে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করার পরই ফিরহাদ অপারেশন সিঁদুরের মুখ সোফিয়া কুরেশির প্রসঙ্গ তুলে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ লঘু করার চেষ্টা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘সারাদিন ধরে যখন বিজেপির নেতারা একজন মহিলা আর্মি অফিসারকে টেররিস্টের বোন বলে তখন আপনারা চুপ থাকেন। আর যখন এই একটা উচকে পাঁচকা জেলায় কিছু একটা ঘটে তখন এটা হাইলাইট করেন! পুলিশকে কিছু বলা নাকি একজন মহিলা আর্মি অফিসারেরর সম্মান, কোনটার বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত?’

শুক্রবার সকাল থেকেই বোলপুর থানার আইসিকে (Bolpur IC) ফোনে হুমকি দেওয়ার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় আইসিকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকিও দেওয়া হয় (এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন)। এই হুমকির ভাইরাল অডিও সকাল থেকেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল অডিওটি পোস্ট করে দেন। অনুব্রতর গ্রেপ্তার চেয়ে পথে নেমে পড়ে বিজেপিও। ফলে চাপে পড়ে যায় তৃণমূল। তড়িঘড়ি দলের তরফে জানানো হয়, চার ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। সক্রিয় হয় পুলিশও। অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলের অফিসে গিয়ে নোটিশ দিয়ে তাঁকে আগামীকাল বোলপুর থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে দলের নির্দেশ মেনে চিঠি লিখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।  তিনি বলেন, ‘আমি নিজের রাগ সামলাতে পারিনি। তাই আমি এই কথা বলেছি। সে জন্য আমি দুঃখিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *