উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভে (Farmers Protest) ফের উত্তাল পঞ্জাব (Punjab)। বুধবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ফেরার পথে সারওয়ান সিং পান্ধের, জগজিৎ সিং ডালেওয়াল সহ বেশ কয়েকজন কৃষক নেতাকে আটক করা হয় (Farmer leaders detained)। এরপরই পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু ও খানাউরি সীমান্ত (Shambhu and Khanauri border) থেকে বিক্ষোভকারী কৃষকদের উচ্ছেদ করতে শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। এমনকি ভেঙে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের অবস্থানস্থল।
কৃষক নেতা গুরামনীত সিং মাঙ্গাতের দাবি, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শম্ভু সীমানায় অবস্থানস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন কৃষক নেতারা। সেই সময় তাঁদের মোহালিতে আটক করা হয়। মোহালিতে পুলিশ ও কৃষকদের সংঘর্ষের সময় ডালেওয়াল এবং পান্ধের ছাড়াও অভিমন্যু কোহার এবং কাকা সিং কোটদার মতো অন্যান্য কৃষক নেতাদেরও পুলিশ আটক করেছিল। পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা অবস্থানস্থল থেকে কৃষকদের উচ্ছেদের কারণ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, কৃষকদের আন্দোলনের জেরে এই দু’টি মহাসড়ক দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যার ফলে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাতিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি মনদীপ সিং সিধুর নেতৃত্বে প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী বিক্ষোভকারী কৃষকদের উচ্ছেদের জন্য খানাউরি সীমান্তে উপস্থিত ছিল। একইভাবে, শম্ভু সীমান্তেও পুলিশ রাস্তা খালি করার জন্য পৌঁছে গিয়েছিল। খানাউরি সীমান্তে পঞ্জাব পুলিশ প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ কৃষককে আটক করেছে। মনদীপ সিং সিধু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওই রুটগুলি খোলার নির্দেশ পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বুলডোজার দিয়ে শম্ভু সীমানায় আন্দোলনস্থলে কৃষকদের তাঁবু গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। অস্থায়ী মঞ্চের ছাউনি এবং ফ্যানও খুলে ফেলেছেন পুলিশকর্মীরা। আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়া হয়েছে।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব, পেনশন চালু করা, বিদ্যুতের বিল না বাড়ানো সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। গত ২৬ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশন করছেন কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল। যদিও শেষে আদালতের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় কৃষক নেতাদের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে ৬ দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। বুধবার চণ্ডীগড়ে ছিল সপ্তম পর্যায়ের বৈঠক। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে খবর। এরপরই কৃষক নেতারা আন্দোলনস্থলে ফেরার সময় মোহালিতে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এমনকি আটক করা হয় কৃষক নেতাদের।