ফালাকাটা: ফালাকাটার কালীপুর গ্রামে কয়েক মাস আগে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নীল, সাদা রংও করা হয়েছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। যে কোনওদিন এটির উদ্বোধন হতে পারে। কিন্তু তার আগেই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে জমছে হাঁটুজল। স্থানীয়রা বলছেন, এই কেন্দ্র চালু হলে বৃষ্টির দিনে পরিষেবার জন্য তো যাতায়াতই করা যাবে না। কারণ, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘর যেখানে করা হয়েছে, তার সামনের অংশ অনেকটাই নীচু। সেখানে কোনও রাস্তাও করা হয়নি। যদিও প্রশাসন বলছে, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান প্রকল্পেই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের রাস্তা ধরা হবে।
ফালাকাটার বিএমওএইচ অতনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখনও আমাদের কাছে হস্তান্তরিত হয়নি। তবে জল জমার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে।’ ওখানে প্রয়োজনে পেভার্স ব্লকের রাস্তা করা হবে। জল বের করার জন্য হিউমপাইপ বসানো হবে। এখন আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচি চলছে। কালীপুরের বুথে যখন এই কর্মসূচি হবে, তখন স্থানীয়রা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জল জমার বিষয়টি তুলে ধরলেই তা গৃহীত হবে এবং কাজ করা হবে বলে ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষচন্দ্র রায় জানিয়েছেন।
ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীপুরে গোরু হাটের পাশে স্থানীয় ঘনশ্যাম বর্মনের দান করা জমিতে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়। ঘনশ্যাম বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস আগে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখনও কেন্দ্রটি চালু হয়নি। তার আগেই সেখানে বৃষ্টির জল জমছে।’
শনিবার রাতভর বৃষ্টি হয়। রবিবার সকালেও বৃষ্টি চলে। স্থানীয় মিঠুন সরকারের কথায়, ‘এখানে যখন সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয় তখনই আমরা সামনের নীচু জমি উঁচু করতে বলি। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এই জল বের করার জন্য হিউমপাইপও বসাতে হবে। তাই আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচি যখন কালীপুরে হবে তখন বিষয়টি তুলে ধরা হবে।’
কালীপুর গ্রামের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখনও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলছে দক্ষিণ কালীপুর গ্রামে। তবে নতুন কেন্দ্রে পরিষেবা চালু হোক, চাইছেন এলাকাবাসীও। ডায়াবিটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত শিশাগোড়ের চিত্তরঞ্জন সরকার। ডায়াবিটিসের কারণে তাঁর একটি পা-ও কাটা পড়েছে। চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘নতুন সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমার বাড়ির কাছেই। তাই এটি দ্রুত চালু হলে পরিষেবা পেতে সুবিধা হয়। একই সঙ্গে জলের সমস্যারও সমাধান করা প্রয়োজন।’