পতিরাম: ফের একই এপিক (Epic) নম্বরে দুজন ভোটারের খোঁজ মিলল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামে তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা (Voters Listing) যাচাইয়ের সময় এই অনিয়ম ধরে ফেলেন। পতিরাম প্রণবপল্লী হালদার পাড়ার এক নম্বর বুথের বাসিন্দা গোবিন্দ হালদারের এপিক নম্বরে গুজরাটের আমেদাবাদ ঘাটনদীয়া এলাকার কমল রজনীর নামও নথিভুক্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজরাটের ওই ব্যক্তির ভোটকেন্দ্রও দেখাচ্ছে পতিরামের বিবেকানন্দ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অম্বরীশ সরকার স্পষ্ট অভিযোগ তোলেন, ‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে বাইরের রাজ্যের ভোটারদের ঢুকিয়ে ভোট করানোর ষড়যন্ত্র করছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে একই পদ্ধতিতে ভোট দখল করা হয়েছে, এবার বাংলাতেও সেই চেষ্টা চলছে। আমরা এই চক্রান্ত রুখব।’ গোবিন্দ হালদারের দাবি, তিনি কুশমণ্ডি বিধানসভা থেকে তপন বিধানসভায় নিজের নাম স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার এপিক নম্বর অন্য রাজ্যের ভোটারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় এখন তার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে একই এপিক নম্বরে ভিন্ন রাজ্যের দুই ব্যক্তির নাম থাকতে পারে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার।