উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাম্পের প্রশাসন (Donald Trump’s administration) থেকে পদত্যাগ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ তথা স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বুধবার একথা জানিয়েছেন মাস্ক নিজেই। তাঁর নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, মাস্কের আচমকা সরে আসার ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে মাস্ক এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘একজন বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে অপচয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ডজ মিশন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে। কারণ সেটি সমগ্র সরকারের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠবে।
As my scheduled time as a Particular Authorities Worker involves an finish, I want to thank President @realDonaldTrump for the chance to cut back wasteful spending.
The @DOGE mission will solely strengthen over time because it turns into a lifestyle all through the federal government.
— Elon Musk (@elonmusk) May 29, 2025
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই নিজের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ইলন মাস্ককে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অন্যতম পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল মাস্ককে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের অর্থনৈতিক নানা দিকে নজরদারির জন্য মাস্কের নেতৃত্বে আলাদা একটি দপ্তর তৈরি করা হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডজ (DOGE)। মূলত মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক অপচয় বন্ধ করে সাশ্রয় করাই ছিল এই দপ্তরের কাজ।
তবে সম্প্রতি ট্রাম্প জনকল্যাণমূলক কাজে সার্বিক সংস্কারের জন্য একটি বিলে সই করেন। সেটিকে তিনি ‘বড় সুন্দর বিল’ বলেছিলেন। কিন্তু সেই বিলের বিরোধিতা করেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তরের কাজও দুর্বল হয়ে পড়বে। মাস্কের কথায়, ‘আমি মনে করি একটি বিল বড় হতে পারে বা এটি সুন্দরও হতে পারে। কিন্তু আমি জানি না এটি উভয়ই হতে পারে কি না।’ ফলে বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতের মিল না হওয়াতেই মাস্ক পদত্যাগ করলেন কি না, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।