উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদের মধ্যেই শুক্রবার ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে, তিনি ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) দ্বারা ব্যবহৃত স্পেসএক্স-এর ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানটি ডিকমিশন বা খারিজ করে দেবেন যার ফলে আপাতত মহাকাশযানটি আর ব্যবহার করতে পারবে না নাসা। যদিও এমন মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই তিনি নিজের কথা প্রত্যাহার করে নিয়ে জানান যে, তিনি ‘টিম আমেরিকার’ সঙ্গেই রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, মাস্কের সংস্থাগুলির সঙ্গে সমস্ত সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিল করে দেবেন তিনি। এরই জবাবে এমন মন্তব্যটি করেছিলেন মাস্ক। ঘটনার সূত্রপাত হয় সপ্তাহখানেক আগে, যখন ট্রাম্পের জনকল্যাণমূলক বিলকে ‘জঘন্য পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়ে প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন ইলন। তাঁর দাবি ছিল যে, এতদিন ধরে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কমাতে যা যা কাজ করেছেন এই বিলের কারণে সেই সব কাজগুলি ভেস্তে যাবে। এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেছিলেন যে, ট্রাম্প তাঁকে না দেখিয়েই বিলটি পাশ করানোর জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প নিজের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘বাজেট বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইলনের সরকারি চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিল করে দেওয়া। আমি বরাবরই এটা ভেবে অবাক হতাম যে, বাইডেন কেন এটা করেননি!’
প্রসঙ্গত, মার্কিন মসনদ দখলের পর নিজের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে মাস্ককে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কমানোর জন্য মাস্কের জন্য একটি দপ্তর তৈরি করা হয়েছিল, নাম দেওয়া হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি(DOGE)। কিন্তু গত মাসে কর হ্রাস সংক্রান্ত বিলটিতে অনুমোদন দেওয়ার পর ট্রাম্প এটিকে ‘খুব সুন্দর একটি বিল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ট্রাম্প-মাস্ক বিবাদ কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার মাস্ক জানান যে, তিনি ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) দ্বারা ব্যবহৃত স্পেসএক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযানটি ডিকমিশন বা খারিজ করে দেবেন অর্থাৎ এর ফলে এটিকে আর ব্যবহার করতে পারবে না নাসা। এসবের মধ্যেই জনৈক এক এক্স(X)-ব্যবহারকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে মাস্ক ও ট্রাম্পের এই বিবাদকে লজ্জাজনক বলেন এবং আপাতত এই বিবাদ বন্ধ করার পরামর্শ দেন। যার জবাবে টেসলা প্রধান লেখেন, ‘ভালো পরামর্শ। ঠিক আছে, আমরা ‘ড্রাগন’-কে ডিকমিশন(খারিজ) করব না।’ এর পরেই মাস্ক পুরনো একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার জাতীয় পতাকা,আর তার পেছনে ড্রাগন মহাকাশযান। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘টিম আমেরিকা।’