উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এলন মাস্কের (Elon Masks) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্কের কথা গোপন নয়। অথচ মাস্কের সংস্থা এক্স (পূর্বতন টুইটার) এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হঠাৎই আইনি যুদ্ধে নেমে পড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩) (বি) ধারাকে কেন্দ্র যেভাবে ব্যবহার করছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা করেছে মাস্কের সংস্থা।
এক্সের বক্তব্য, ওই আইনের মাধ্যমে অনলাইনে বিষয়বস্তুর ওপর অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ চাপানো হচ্ছে যা আগামীদিনে সেন্সরশিপের দিকে এগোতে পারে। সরকারের এমন অবস্থানে ভারতে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে এক্স। তারা জানিয়েছে, ভারতে তাদের ব্যবসা নির্ভর করছে এক্স ব্যবহারকারীরা ওই মাধ্যমে আইনগত তথ্য শেয়ার করতে পারছেন কি না তার ওপর। কিন্তু একতরফাভাবে যদি ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে এক্সের প্ল্যাটফর্ম তো বটেই, ব্যবহারকারীদের আস্থাও হারাবে তারা।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন এক্সের বক্তব্য শুনে বলেছেন, সরকার যদি সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর পদক্ষেপ করে তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক কীভাবে বিভিন্ন মন্ত্রক, রাজ্য এবং পুলিশ সংস্থাগুলিকে কনটেন্ট ব্লক করার সমান্তরাল ব্যবস্থা করতে উৎসাহ দিচ্ছে সেই কথাও জানিয়েছে এক্স। এই ব্যাপারে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রেলমন্ত্রকের একটি নির্দেশ উদাহরণ হিসেবে পেশ করেছে তারা।
মাস্কের সংস্থার অভিযোগ, কেন্দ্রের আচরণে অনলাইনে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকারও খর্ব হচ্ছে। এক্স দাবি করেছে, আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে বেআইনিভাবে অনলাইন বিষয়বস্তু আটকে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি এজেন্সিগুলি যেমনটা চাইবে তেমনটা যদি কনটেন্ট ব্লক করা না হয়, তাহলে এক্স আইনি সুরক্ষাকবচ খোয়াবে। মাস্কের সংস্থা বলেছে, কীভাবে অনলাইন কনটেন্ট ব্লক করতে হবে তা সুপ্রিম কোর্ট বিস্তারিতভাবে ২০১৫ সালে শ্রেয়া সিংঘল মামলায় বলে দিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ (এ) ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট কিছু কারণে কনটেন্ট ব্লক করা যাবে। তা পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থাও বলা আছে ওই ধারায়। কিন্তু ৭৯(৩)(বি) ধারায় স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। এর সাহায্যে সরকার ৬৯ (এ) ধারার তোয়াক্কা না করে আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে।