খোকন সাহা, বাগডোগরা: সঙ্গিনীকে দখলের লড়াইয়ে দাঁতালের কাছে হার মানল মাকনা। রবিবার ভোররাত থেকে ধুন্ধুমার লড়াইয়ে (Elephant Battle) শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় মাকনা হাতিটির। কার্শিয়াং বনবিভাগের বাগডোগরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সেন্ট্রাল ফরেস্ট বস্তির কাছে রবিবার ভোর ৪ টে থেকে লড়াই শুরু হয়। লড়াই করতে করতে ২ টি হাতিই ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সিঙ্গিঝোরা চা বাগানের পিছনে হুরুলিয়া এলাকায় চলে আসে। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে হাতির লড়াইয়ে গাছপালা ভেঙে যায়। আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চলতে থাকে চিৎকার। কাছাকাছি যাবার সাহস দেখাতে পারেননি বনকর্মীরা। প্রায় ঘন্টা দুয়েকের লড়াইয়ে দাঁতের আঘাতে মাকনা হাতিটিকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় দাঁতাল।
মাকনার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ঝড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত মাকনা হাতিটি ছুটতে ছুটতে হুরুলিয়া ব্লক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে টিপুখোলা ইকো পার্কের কাছে চলে আসে। মাকনার পিছু নেয় দাঁতালটিও। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাকনা হাতিটি। বাগডোগরার রেঞ্জ অফিসার সোনম ভুটিয়া বলেন ‘দুই হাতির লড়াইয়ে বড় বড় পুরানো গাছগুলি পড়ে গিয়েছে।’ এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় ও ঘটনাস্থলে থাকা প্রাণী চিকিৎসক মৃত হাতিটির শরীর পরীক্ষা করেন।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচার হেল্প অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সন্দীপ সরকার বলেন, ‘সঙ্গিনীর জন্য দুই পুরুষ হাতির মধ্যে বিরোধ বেঁধে যায়। মাকনা দুর্বল ছিল বলেই লড়াইয়ে তাকে হার মানতে হলো।’ এদিকে কার্শিয়াং বন বিভাগের বামনপোখড়ি রেঞ্জের লামাগুম্বা জঙ্গলে রবিবার একটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। কার্শিয়াং বন বিভাগের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে দাবি করেন, ‘হাতিটি পাহাড় থেকে নীচে পড়ে মারা গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কারন যেখানে দেহ পাওয়া গিয়েছে তার পাশেই উঁচু পাহাড়। তবে ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’