উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্মতলায় একুশের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যাবে কোচবিহার জেলার দিনহাটার উত্তম ব্রজবাসীকে। উত্তম কোচবিহারে থাকলেও সে অসমের বাসিন্দা। অসমের ফরেন ট্রাইব্যুনালের পাঠানো নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নোটিশে রাজবংশী সমাজের উত্তম ব্রজবাসীর নাম রয়েছে। এই ঘটনায় নিজেই বিস্মিত উত্তম। তাঁর দাবি, তিনি কখনই অসম বা কোচবিহার ছেড়ে কোথাও যাননি। এবারের একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে উত্তমকে পাশে রেখেই এনআরসি ইস্যুতে বক্তব্যে ঝড় তুলতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ অপবাদ দিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, বাঙালী পরিযায়ীরা এই হয়রানি শিকার হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতেই। এই ইস্যুতে সম্প্রতি কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তম ব্রজবাসীর এনআরসির নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই প্রতিবাদের মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে যায় তৃণমূল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দেন এবং প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন দিনহাটার মানুষকে অসমের নাগরিক বলা যায়?
যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, উত্তমবাবুর অস্থায়ী ঠিকানা কোচবিহারে হলেও তিনি আদতে অসমের বাসিন্দা। তিনি আরও বলেন, উত্তমবাবুর আইনজীবীরা আদালতে তাঁর রাজবংশী পরিচয় স্পষ্টভাবে পেশ করেননি, যার ফলে তাঁকে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এবারের একুশের মঞ্চে উত্তম ব্রজবাসীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন উত্তম। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এটাই শেষ শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান মনে করেই এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই উত্তম ব্রজবাসীর উপস্থিতি হবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।