উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার ডুরান্ডে বড় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিযোগিতার শেষ ম্যাচে বায়ুসেনাকে ৬-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ। বড় ব্যবধানে জিতলেও একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে ব্রুজোর ছেলেরা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছেন হামিদ আহদাদ, বিপিন সিংহ, আনোয়ার আলি, মহম্মদ রশিদ, সাউল ক্রেসপো এবং ডেভিড লালানসাঙ্গা। এদিন বায়ুসেনার বিরুদ্ধে গোল সংখ্যাটা ১০ থেকে ১২ হওয়া উচিত ছিল।
এদিন তুলনামূলক দুর্বল বায়ুসেনার রক্ষণে প্রথম থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। এদিন দলে তিনি বিদেশিকে খেলান ব্রুজো। সাত মিনিটের মাথায় এডমুন্ড লালরিনডিকার পাশ থেকে গোল করে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি হামিদ। প্রথমার্ধেই মরক্কোর এই ফুটবলার হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন। ১৫ মিনিটের মাথায় বিপিনের একটি পাসে ফাঁকা গোল থাকলেও বলে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি হামিদ। এদিন একাধিক গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন বিপিন।
খেলার ২৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের বিপিন। বায়ুসেনার একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে আরও সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে খেলার একটা গোল শোধ করে দেয় বায়ুসেনা। গোল করেন আমন খান।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকে চাপ বজায় রেখেছিল। আবারও শুরুতে দুটো সুযোগ নষ্ট করেন হামিদ। প্রথম বার মহেশের বাড়ানো বল ধরতে পারেননি। তিন মিনিট পরে বিপিনের ক্রসে হেড করলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৪ মিনিটে তৃতীয় গোল করে ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার। পাঁচ মিনিট পরে চতুর্থ গোল করেন রশিদ। বক্সের বাইরে বল পেয়ে দূরপাল্লার শটে গোল করেন রশিদ। ৮৫ মিনিটে ডান দিক থেকে এডমুন্ডের ভাসানো বলে দলের পঞ্চম গোল করেন সাউল। শেষ মুহূর্তে ৬ নম্বর গোলটি করেন ডেভিড।
মরসুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলের গোল নষ্টের রোগ সারানো যাচ্ছে না। এদিন কমপক্ষে ১০টি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হামিদ, বিপিন, পিভি বিষ্ণুরা। যা কোচ অস্কার ব্রুজোকে চিন্তায় রাখবে বলেই মনে করছে ক্রীড়ামহল। ডুরান্ডে লিগ পর্যায়ের ম্যাচগুলিতে সব মিলিয়ে ১২ গোল করে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নামবেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।