শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: লাটাগুড়ির ক্রান্তি মোড়ের সুকান্ত সংঘের দুর্গাপুজো এবছর পা দিল ৫৪তম বর্ষে (Durga Puja 2025)। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে হওয়া এই পুজো স্থানীয় মানুষের কাছে মিলনমেলা, সম্প্রীতির উৎসব। প্রতিবছরের মতো এ বছরও দর্শনার্থীদের চমক দিতে চাইছেন কর্মকর্তারা।
এবারের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দিরের আদলে। মণ্ডপশিল্পী মিঠু ইসলামের হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে মন্দিরটির প্রতিরূপ। ৬৫ ফুট উঁচু এবং ৫০ ফুট চওড়া এই মণ্ডপটি আলোকসজ্জা এবং কারুকার্যে ভরে উঠবে। শুধু উচ্চতা নয়, নকশার নিখুঁত কারুকাজও দর্শনার্থীদের চোখ টানবে বলে আশাবাদী কর্মকর্তারা।
মৃৎশিল্পী তপন রায় তাঁর শিল্পকলার মুনশিয়ানায় গড়ে তুলছেন দেবী দুর্গার অপরূপ প্রতিমা। প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে শুরু করে অলংকরণ, সবেতেই ধরা পড়ছে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন। ষষ্ঠীতে এলাকার মহিলারা ঐতিহ্য মেনে দেবীকে বরণ করে আনবেন। অন্যদিকে, নবমীতে গোটা গ্রাম একসঙ্গে বসে প্রসাদ গ্রহণ করবেন। ধনী থেকে গরিব, জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকলে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।
পুজো কমিটির সম্পাদক দেবপ্রসাদ রায় বললেন, ‘শুধু লাটাগুড়ি নয়, আশপাশের ঝাড় মাটিয়ালি গ্রামের মানুষও এই পুজোর অংশ। তাই এটাকে শুধু একটি পাড়ার পুজো বললে ভুল হবে। বরং এটি গোটা এলাকার মিলনক্ষেত্র।’
পুজো চলেই এল। তাই প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। কমিটির সদস্য শুভজ্যোতি রায় বললেন, ‘বিসর্জনের দিন একশো একটি ঢাক বাজিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হবে। এভাবেই দেবীকে বিদায় জানানো হবে।’
কমিটির অন্য সদস্য অরিন্দম রায়, নীলকমল রায়রা জানালেন, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুর্গোৎসব বারবার প্রমাণ করেছে, সমাজকে একসূত্রে বেঁধে রাখার শক্তি রাখে উৎসব। পাঁচ দশকের সেই ঐতিহ্যকে এবছরও অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন এলাকার সকলে।