Durga Puja 2025 | বিসর্জন হয় না দশমীতে

Durga Puja 2025 | বিসর্জন হয় না দশমীতে

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


রামপ্রসাদ মোদক, রাজগঞ্জ: এখানে দশমীতে প্রতিমার বিসর্জন হয় না। সারাবছর মা দুর্গা থাকেন টিনের চালার একটি ঘরে। সেখানে নিত্যপুজো হয়। সন্ধ্যাবাতি জ্বালান গ্রামের মানুষ। পরেরবারের দুর্গাপুজোর আগে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় পাগলাদিঘিতে। সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলারহাট সর্বজনীন দুর্গাপুজোর নিয়ম এমনটাই (Durga Puja 2025)।

১৯৫১ সালে এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন ওপার বাংলা থেকে আসা শিক্ষক কেদারনাথ মজুমদার এবং বীরকিশোর মোদক সহ এলাকার মানুষজন। একসময় এই একটিই দুর্গাপুজো হত পাগলার হাটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অবশ্য আরও দুর্গাপুজো হচ্ছে এলাকায়। গ্রামের অন্যান্য পুজোয় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পাগলারহাটের পুজো হয় সাবেকিভাবেই।

সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক জ্যোতিষচন্দ্র রায় ছোটবেলা থেকে এই পুজো দেখছেন। ছিয়াত্তর বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ বললেন, ‘মনে পড়ে, ছোটবেলায় মায়ের হাত ধরে দুর্গা ঠাকুর দেখতে যেতাম পাগলারহাটে। তখন ঠাকুরের ঘরটি খড় দিয়ে ছাওয়া ছিল। বাইরে বাঁশ এবং বেড়া লাগানো ছিল। মানুষজন পুজো দেওয়ার জন্য বসতেন, সেখানেও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া থাকত।’ হ্যাজাক জ্বালিয়ে সন্ধ্যায় চলত আরতি প্রতিযোগিতা। আট থেকে আশি সকলেই সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেলেও পাগলারহাট আমার চোখে এখনও অনেক কিছু বদলায়নি।’

পাগলারহাট সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি ধীরেন রায় জানান, মায়ের টিনের চালার ঘরটির কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। নতুন করে ঘরটি তৈরি করে সামনের বছর পুজোর আগে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক মিঠুন সিং বলেন, ‘গ্রামের মানুষ পুজো করার জন্য যেটুকু চাঁদা দেন এবং হাটের দোকানদারদের কাছ থেকে যে চাঁদা ওঠে, তা দিয়েই পুজো করা হয়। কয়েকবছর ধরে রাজ্যের সরকারি অনুদানের টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এখনও আমাদের এখানে আরতি প্রতিযোগিতা হয়। পুজোর কয়েকটা দিন গ্রামের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *