উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, তারপই এবছরের মতো মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। তাই মনে যতই আকাঙ্খা থাকুক না কেন নবমী নিশিকে ধরে রাখা যাবে না বুঝেই বৃষ্টির ভ্রকুটি উপেক্ষা করেই পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে নামল দর্শনার্থীদের ঢল। শেষ দিনের আনন্দ পুরোটা উশুল করে নিতে পথে থাকার পণ করে নিলেন আমজনতা।
পুজো দর্শন অনেকের শেষ হয়েছে। কিন্তু আড্ডা প্রিয় বাঙালির কি আর ঘরে ফিরতে মন চায়। অনেকেই তাই পুজো দেখার পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে উন্মুক্ত প্রান্তরে। বাঘাযতীন পার্ক বরাবরই পুজো এবং আড্ডার অন্যতম কেন্দ্র। সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে টুকটাক খাবার মুখে ফেলে চলতে থাকে আলাপচারিতা। তার মধ্যেই কখনও উঠে গিয়ে দু-একটা পুজো দেখে ফের ফিরে আসা সেই আড্ডায়। সেই মেজাজেই আজ দেখা গেল ‘জেন জি’ কে। কেউ কেউ আবার ভিড়ে ঠাসা মণ্ডপ দর্শনকে বাদ দিয়ে আড্ডাকেই মোক্ষ করে নিয়েছেন। তাই নবমী নিশির বিষাদের সঙ্গে কোথাও মিশে গিয়েছে আড্ডার হুল্লোর।
শিলিগুড়ির অধিকাংশ পুজো মণ্ডপই আজ ছিল ভিড়ে ঠাসা। মাঝে কিছুটা তাল কেটেছে বৃষ্টি। কিন্তু তাতে কি? পায়ে হেঁটে হোক বা টোটোবাহিত হয়ে, পুজো দর্শনে ভাঁটা পড়েনি কিছুতেই। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দশমী। তবে অধিকাংশ পুজোরই আগামীকাল বিসর্জন হবে না বলে জানা গেছে। তাই হাতে আরও একটা বাড়তি দিন পেয়েই যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে তাই আগামীকালও পুজো দেখবেন বলে কিছু পুজো বাদ রাখছেন। পুনের একটি বেসরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী সংহিতা মৈত্র জানালেন, পুজোর আনন্দের সঙ্গে কোনও আপস নয়, সমাজমাধ্যম ঘেঁটে অবশ্য গন্তব্য পুজোর তালিকা তৈরি করে নিয়েছেন, এবার তা মিলিয়ে দেখে নেওয়ার পালা। ষাটোর্দ্ধ সমরেশ চক্রবর্তীর পুজো অবশ্য কিছুটা অন্যরকম। পুজো মণ্ডপের সামনে নিখাদ আড্ডায় মেতে ওঠাটাই তার কাছে বেশি আনন্দের বলে জানালেন। শিলিগুড়ি ঘোগোমালির জনশ্রী ক্লাবে তৈরি হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। আর সেই মণ্ডপ দেখতে এসে আলিপুরদুয়ার বারোবিশার বাসিন্দা তাপস বিশ্বাস জানালেন, রাত পর্যন্ত পুজো দেখা চলবে। কারণ এবছরের মতো আজই যে শেষ।