সৌরভ দেব, জলপাইগুড়ি: পুজোর বাকি নেই এক মাসও (Durga Puja 2025)। মণ্ডপ তৈরিতে শিল্পীদের তৎপরতা এখন তুঙ্গে। একইভাবে চরম ব্যস্ততার ছবি কুমোরটুলি থেকে মৃৎশিল্পীদের স্টুডিও সর্বত্রই। কেউ ব্যস্ত প্রতিমায় রংয়ের প্রলেপ দিতে। কেউ আবার মা দুর্গার সাজসজ্জার সামগ্রী তৈরি করছেন। রবিবার সকালে সেই একই ছবি দেখা গেল পাতকাটা কলোনি অগ্রণী সংঘ ও পাঠাগারের পুজোমণ্ডপে। একদিকে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। অন্যদিকে, উদ্যোক্তাদের একাংশ বেরিয়েছিলেন চাঁদা তুলতে।
এদিন পুজোমণ্ডপের সামনে কাজের তদারকি করছিলেন পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ পরিমল চাকি। জানালেন, এবার তাঁদের পুজোর ৬৮তম বর্ষ। পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। কোচবিহারের এক ডেকোরেটারকে এবার মণ্ডপসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্লাস্টিক, থার্মোকল এখন পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। সরকার থেকে অনেক চেষ্টা করেও এখনও প্লাস্টিক এবং থার্মোকলমুক্ত সমাজ তৈরি করতে পারেনি। সেই প্লাস্টিক এবং থার্মোকল বর্জনের বার্তাই এবার পুজোর মাধ্যমে দিতে চলেছে অগ্রণী সংঘ। পরিমল বললেন, ‘আমাদের পুজোমণ্ডপটি এবার ইতালির ভ্যাটিকান সিটির আদলে তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের মণ্ডপটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। কেবলমাত্র বাঁশ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। পুজোর মাধ্যমে আমাদের বার্তা প্লাস্টিক এবং থার্মোকলমুক্ত সমাজ তৈরি করা।’
শহরতলিতে কয়েকবছর ধরে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্যতম এই অগ্রণী সংঘের পুজো। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি শহর বা জেলা নয়, অগ্রণী সংঘের পুজোর সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে পাশের জেলা কোচবিহার এবং দার্জিলিংয়েও। ভিড় এড়াতে পঞ্চমী থেকেই এখন শুরু হয়ে যায় ঠাকুর দেখা। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে তাই এবার চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন করা হবে বলে ঠিক করেছেন উদ্যোক্তারা। পুজোর পাশাপাশি গরিবদের বস্ত্রদান করা হবে এবং প্রতিদিন বসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর।
উদ্যোক্তারা জানালেন, অগ্রণী সংঘের আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় এক শিল্পী। অন্যদিকে, মণ্ডপের সাজসজ্জার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে তৈরি হচ্ছে অগ্রণী সংঘের প্রতিমা।