Durga Puja 2025 | পুজোর আনন্দ আটকে যায় কাঁটাতারে

Durga Puja 2025 | পুজোর আনন্দ আটকে যায় কাঁটাতারে

শিক্ষা
Spread the love


প্রসেনজিৎ সাহা, দিনহাটা: শহরজুড়ে রাস্তার ওপর বাঁধা হচ্ছে আলোকতোরণ। থিমের মণ্ডপগুলিতে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, দিনহাটা (Dinhata)-র পুজো (Durga Puja 2025) এবারও চমক দিতে চলেছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বাজেট এক একটি পুজোতে। থিমের লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিতে তৈরি হচ্ছে সকল পুজো কমিটি। মহালয়ার পর থেকেই চন্দননগর ও নবদ্বীপের আলোকমালায় সেজে উঠবে শহরের রাস্তাগুলি। হাজার হাজার মানুষ সেই আলো গায়ে মেখে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। ঠিক সেই সময় শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে থাকা তিনটি গ্রামের মানুষের সব আনন্দ আটকে যাবে কাঁটাতারে।

নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সীমান্তের ওপারে থাকা সাবেক ছিট করলা, করলা ও কিশামত করলার মতো তিন গ্রামের মানুষের কাছে এই উৎসবের স্বাদ অধরাই থেকে যাবে প্রতিবছরের মতো। সীমান্তের কাঁটাতার তাঁদের কাছে শুধু ভৌগোলিক সীমারেখা নয়, পুজোর আনন্দের অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের মহকুমার একের পর এক বিগ বাজেটের পুজোর আয়োজন হলেও লোকমুখে শুনে আনন্দ উপভোগ করতে হয় তাঁদের।

কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দা আমিনুর খন্দকারের কথায়, ‘দিনহাটার পুজোর খবর তো কান পাতলেই শুনতে পাই। আলো ঝলমলে প্যান্ডেলের ছবি দেখি টিভি বা মোবাইলে। কিন্তু কাছে থেকেও আমরা দূরের মানুষ। সীমান্তের গেট সকালে খোলে, সন্ধ্যায় বন্ধ হয়ে যায়। পুজো দেখতে গেলে দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে আসতে হয়। দিনে পুজোর দেখার সেই আনন্দ কোথায়?’ তিনি আরও জানান, পুজোর রাতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে হলে শহরে রাত কাটাতে হয়। কিন্তু সকলের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই এই তিনটি গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কাঁটাতারের এপার থেকে পুজোর আনন্দ নেন। আক্ষেপের সঙ্গে আর এক বাসিন্দা রবি সেন বললেন, ‘বাড়ির খুদেরা আলোর ঝলকানি, মেলা দেখার জন্য জেদ করতে থাকে। কিন্তু নিয়মের গেড়োয় কিছুই করার থাকে না।’

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরক্ষার কারণে সকাল সাতটায় সীমান্তের গেট খোলা হয়। আর বিকাল চারটেয় গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সীমান্তের ওপারের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, পুজোর রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং, রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াদাওয়া কোনও কিছুই হয়ে ওঠে না। সবই তাঁদের কাছে অলীক স্বপ্নের মতো। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য রণদীপ বসু বললেন, ‘পুজোর ক’টাদিন এই তিন গ্রামের মানুষের জন্য আলাদা ভিসা বা গেট পাসের ব্যবস্থা করলে তাঁরাও শহরের পুজোয় অংশ নিতে পারতেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *