পিকাই দেবনাথ, কামাখ্যাগুড়ি: বহু বছরের পুরোনো পুজো। তাই তার সঙ্গে আবেগ, স্মৃতি জড়িয়ে থাকাটা স্বাভাবিক। কোথাও আগে টিনের একচালা মন্দিরে পুজো হত। এখন সেটা পাকা হয়েছে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোনও পুজোর জাঁকজমক বেড়েছে। সবকিছুরই সাক্ষী স্থানীয়রা। তাই কামাখ্যাগুড়ির দুই প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2025)-কে কেন্দ্র করে আলাদা উৎসাহ রয়েছে। এই যেমন কামাখ্যাগুড়ি হড়িবাড়ির দুর্গাপুজো। এবছর ওই পুজো ১০৮ বছরে পদার্পণ করল। কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দারা ওই পুজোর অপেক্ষায় মুখিয়ে থাকেন। এবছর পুজোর বাজেট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা। নিজস্ব মন্দিরে পুজো হয়। প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করছেন কামাখ্যাগুড়ির শিল্পী সুকুমার পাল।
চন্দননগরের শিল্পীদের দিয়ে পুজোমণ্ডপে আলোকসজ্জা করা হবে। হরিবাড়ি দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি দেবাশিস রায়ের কথায়, ‘এই পুজোকে কেন্দ্র করে কামাখ্যাগুড়ি তথা আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের আবেগ ও স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমরা প্রতিবছরের মতো এবছরও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।’
যেহেতু ওই পুজো অনেক পুরোনো তাই মাকে দর্শন করতে পুজোর কয়েকদিন বহু মানুষ ভিড় জমান। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রত্যেকদিন পুজো মণ্ডপে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।
মন্দির প্রাঙ্গণে পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে। ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তা তথা এলাকার বাসিন্দা রাজেশ কর্মকারের কথায়, ‘পুজো নিয়ে সারা বছর ধরে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা করে থাকি। পুজোর চারদিন কী করে কেটে যায় তা বুঝতেই পারি না।’
এদিকে, শিববাড়ি দুর্গাপুজোর বাজেট প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। সত্তর বছরের বেশি পুরোনো ওই পুজো। মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমা তৈরি করছেন কামাখ্যাগুড়ির প্রতিমাশিল্পী মানিক পাল। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৪ ফুট। যেহেতু আর কয়েকদিনই বাকি পুজোর। তাই মণ্ডপ প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে আলোকসজ্জা হয়েছে স্থানীয় শিল্পী দ্বারা।
শিববাড়ির বাসিন্দা মনতোষ দাসের কথায়, ‘সারা বছর এই পুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর এই কয়টা দিন সমস্ত কাজ ভুলে পুজোর আনন্দে মেতে উঠি। চলে আড্ডা ও ভুরিভোজ।’