অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: এ যেন অনেকটা টাইম মেশিনের মতো ব্যাপার। ময়নাগুড়ির নতুনবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজোমণ্ডপে এলে দর্শনার্থীরা ফিরে যাবেন প্রায় ১০০ বছর আগে। নতুন বাজার কর্মতীর্থ ভবনের গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় এবং পরিবেশবান্ধব এই মণ্ডপ। ৫৭তম বর্ষে এবছর এখানে দেখা যাবে সাবেকিয়ানা সমৃদ্ধ পুজো। থিম ‘উৎসর্গ’ (Durga Puja 2025)।
ময়নাগুড়ির বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম নতুনবাজারের এই পুজো। প্রতিবছর এখানকার থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। উদ্যোক্তাদের দাবি, চলতি বছরেও মানুষের ঢল নামবে। গোরুর গাড়ি থেকে শুরু করে ঘুঁটে, টালি, পোয়াল, মাটির উনুন ইত্যাদি দিয়ে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। ৩০ ফুট উঁচু ও ৭০ ফুট চওড়া মণ্ডপে থাকছে মোট তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপে টালির কাজ। দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশপথে ঘুটের ব্যবহার থাকবে। তৃতীয় ধাপে পুরোনো দিনে গ্রাম বাংলার মাটির বাড়ির আদলে বিভিন্ন কাজ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। থাকবে আলো ও শব্দের মেলবন্ধন।
ময়নাগুড়ির শিল্পী জয় চন্দ থিম রূপায়ণের দায়িত্ব রয়েছেন। পুজো কমিটির সভাপতি মনোজ রায় বলেন, ‘১০০ বছর আগে আমরা কেমন পরিবেশে ছিলাম এবং বর্তমানে কেমন পরিবেশে রয়েছি, সেটাই মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরব। সেই সময় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ছিল না, ছিল না থার্মোকল। তখন মানুষ কীভাবে বাজার করতেন, তা এখানে এলে দেখা যাবে। ১০০ বছর আগের মানুষের জীবনযাপনও তুলে ধরা হবে।’ পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা সিদ্ধার্থ সরকারের কথায়, ‘আমাদের মণ্ডপে এলে দর্শনার্থীরা পুরোনো দিনে ফিরে যাবেন। মণ্ডপ দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন।’
শুধু মণ্ডপেই চমক নয়, প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেও থাকছে অভিনবত্ব। প্রতিমা তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন হাসপাতালপাড়ার মৃৎশিল্পী কুণাল পাল। আলোকসজ্জার দায়িত্বে স্থানীয় শিল্পী সুখচাঁদ মজুমদার।
এবছর নতুনবাজার সর্বজনীনের পুজো দর্শনার্থীদের মন জয় করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৌমেন সাহা ও সুমিত সাহা, সোমনাথ চক্রবর্তী, হরেকৃষ্ণ শর্মা সহ অন্য সদস্যরা।