উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ জয় দিয়ে ডুরান্ড কাপ শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সাউথ ইউনাইটেড এফসি’কে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিলেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। বড় ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গল জয় পেলেও বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে গোলের সংখ্যাটা দশ ছাড়িয়ে যেতে পারত।
এদিন যুবভারতীতে ম্যাচের আগে ফুটবলে শট মেরে ডুরান্ড কাপ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের পদাধিকারীরা। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে অংশ নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল বনাম বেঙ্গালুরুর সাউথ ইউনাইটেড এফসি। বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে ডুরান্ড কাপে যাত্রা শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার লাল-হলুদ সমর্থক। দলের খেলা দেখে হতাশ হননি সমর্থকরা। হাসতে হাসতে জিতে ডুরান্ড অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। সাউথ ইউনাইটেড এফসি’কে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিলেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। ‘সোনালি সময় ফেরাতে’ সমর্থকদের পাশে চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সেই মতো বহু লাল-হলুদ সমর্থক সল্টলেক স্টেডিয়ামে হাজিরও হয়েছিলেন। তাঁরা নিরাশ হলেন না।
এদিন, খেলা শুরুর থেকেই সাউথ ইউনাইটেড এফসির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের উজ্জীবিত ফুটবলে বেসামাল পরিস্থিতি হয় বেঙ্গালুরুর সুপার ডিভিশনের দলটির। খেলার ১২ মিনিটের মাথায় লালচুংনুঙ্গার দূরপাল্লার বিশ্বমানের শটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ১৮ মিনিটে সল ক্রেসপোর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিটে অতি সুযোগ হারান ডেভিড। ৩৪ মিনিটেও গোল মিস করেন ক্রেসপো। ৩৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি ২৯ বছর বয়সি স্প্যানিশ তারকা ক্রেসপো। ২ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র বজায় থাকল যুবভারতীতে। ইউনাইডের রক্ষণভাগে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ৬০ মিনিটে আবারও সহজ গোল মিস ইস্টবেঙ্গলের। ৬৩ মিনিটেও মহেশের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮০ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলে নিজের অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেন বিপিন সিং। ৮৭ মিনিটে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন দিয়ামান্তাকোস। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মহেশ। ৫-০ ব্যবধানে জয় দিয়ে ডুরান্ডে যাত্রা শুরু করল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।