সৌরভ রায়, কুশমণ্ডি: আদিবাসী শিল্পীদের নেতৃত্বে মাঠে পৌঁছাতেই বিডিও নয়না দে নিয়ে গেলেন নলেন গুড়ের তৈরি পিঠের স্টলে। কেমন হয়েছে পিঠে, জানতে চাইলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা। কাগজের থালায় পিঠে সাজিয়ে এগিয়ে দিলেন শিখা সরকার ঠাকুর। তৈরি মঞ্চে না উঠে আজ কুশমণ্ডি হাইস্কুল মাঠে দুয়ারে সরকারের উদ্বোধন করতে এসে এভাবেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল, এলাকার বিধায়ক রেখা রায় ও খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রূপসানা খাতুন প্রমুখ।
কন্যাশ্রীর মেয়েদের হাতে তুলে দিলেন সবুজ সাথীর সাইকেল। পরে জেলা শাসক ও এসপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষি, ভূমি দপ্তর কাউন্টারে গিয়ে উপভোক্তাদের কাছে শুনলেন অসুবিধা কোথায়। এরপর পায়ে হেঁটে পৌঁছালেন বালিকা বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আইসিডিএস সেন্টারের স্টোররুমে। টিন খুলে দেখলেন চাল, ডাল। জানতে চাইলেন টিভি লাগানো হলেও বাচ্চাদের দেখানো হচ্ছে কি না। নিজে হাতে বোতল তুলে নিয়ে দেখলেন কোন কোম্পানির সর্ষের তেল খাওয়ানো হচ্ছে বাচ্চাদের।
সেন্টারের দিদি গৌরী রায়ের কথায়, ‘সবকিছু থাকলেও জঙ্গলে ঘেরা সেন্টারে দাঁড়াশ সাপ ঢুকে পড়ে। সাপ তাড়ানোর উপায় দেখতে বললেন সিডিপিও পল্লব চক্রবর্তীকে।’
এরপর হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ড ঘুরে হাসপাতালের খুঁটিনাটি জানতে গিয়ে বিএমওএইচ অমিত দাস বলেন, ‘বাউন্ডারি ওয়াল নেই। আরও একটি অ্যাম্বুল্যান্স প্রয়োজন। হাসপাতালে ঢোকার রাস্তা অর্ধেক ঢালাই হওয়ায় জেলা শাসক পুরোটা শেষ করবার নির্দেশ দিলেন বিডিও নয়না দে-কে। এসপি চিন্ময় মিত্তাল খোঁজ নিলেন হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প কীভাবে চলছে। সদ্য তৈরি কমিউনিটি হল ঘুরে জেলা শাসক রওনা হলেন জেলার উদ্দেশে।’
ততক্ষণে কুশমণ্ডি হাইস্কুল মাঠে দুয়ারে সরকার শিবিরে খন পালাগানের শিল্পীরা শুরু করেছেন গান ‘দরকার দরকার দুয়ারে সরকার – এসেছে মেটাতে আমাদের প্রয়োজন’। সবশেষে জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘উন্নয়নের কাজ সহ সাধারণ মানুষের সরকারি পরিষেবার কাজ ভালোভাবেই হচ্ছে কুশমণ্ডি ব্লকে।’