উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধ আপাতত অতীত? ফের কাছাকাছি আসতে চলেছে আমেরিকা ও চিন? বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা ঘোষণা করেছেন তাতে চিন থেকে বিরল খনিজ ও চুম্বক আমদানিতে আর কোনও বাধা রইল না। অন্যদিকে চিনের পড়ুয়ারাও এবার থেকে বিনা বাধায় আমেরিকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করতে পারবেন। লণ্ডনে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। ট্রাম্প এখন দুই দেশের সম্পর্ককে ‘চমৎকার’ বলে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা মোট ৫৫% শুল্ক পাচ্ছি, চিন পাচ্ছে ১০%। সম্পর্ক চমৎকার!’ তবে এদিন দুই দেশের প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যে চুক্তিটি হয়েছে, তা তার এবং রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে চুক্তির পরে ‘আমেরিকা আমদানি করা চিনা পণ্যের উপর ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। চিন মার্কিন আমদানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক নেবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প আমেরিকার নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার করার পরে ওয়াশিংটন-বেজিং সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল। এই আবহে বিরোধের নিষ্পত্তি করতে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনিভায় শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। লন্ডনে দুই দিনের নিবিড় আলোচনার পর, মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বৈঠকে আলোচিত এই কাঠামোটিকে গত মাসে জেনেভায় সম্পাদিত প্রাথমিক চুক্তিতে আলাদা গুরুত্ব যোগ বলে বর্ণনা করেছেন। উদ্দেশ্য প্রায় ৩ অঙ্কে পৌঁছে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক শুল্ককে কমিয়ে আনা। চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপ করার পর জেনেভা চুক্তিটি স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নিজস্ব রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এর মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফ্টওয়্যার, বিমান এবং অন্যান্য সংবেদনশীল পণ্য চিনে রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ। যদিও এই চুক্তির পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা অনেকটাই কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।