Donald Trump | পাক-মার্কিন বন্ধুত্বের রহস‍্য ফাঁস, ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার সমর্থন করছে পাকিস্তান, জানালো হোয়াইট হাউস

Donald Trump | পাক-মার্কিন বন্ধুত্বের রহস‍্য ফাঁস, ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার সমর্থন করছে পাকিস্তান, জানালো হোয়াইট হাউস

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) সমর্থন জানাতে চলেছে পাকিস্তান। কূটনৈতিক মহলকে অবাক করে দিয়ে বুধবার পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনিরের (Asim Munir) সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে মধ্যাহ্নভোজনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমেরিকার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায় এই বৈঠক হয়। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ঘিরে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। অবশেষে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই জল্পনার অবসান ঘটানো হয়েছে। মুখপাত্র আনা কেলি নিশ্চিত করেছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারে জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়নের আহ্বান জানিয়েছেন মুনির। পাকিস্তানের এই সমর্থনেই আপ্লুত ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ এড়ানোর যাবতীয় কৃতিত্ব ট্রাম্পকেই দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। পরমাণু শক্তিধর দুই `প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘাত এড়ানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকাকে তুলে ধরার জন্যই মুনিরকে বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। প্রথমে জল্পনা ছড়ায়, আমেরিকার সেনা দিবসে পাক সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও সেই জল্পনাকে অস্বীকার করে আমেরিকা। গত শনিবার আমেরিকার যে ‘সেনা দিবস’ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে মুনিরকে দেখা যায়নি। তবে এদিন মুনিরকে নিয়ে ট্রাম্পের বৈঠক সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সাধারণভাবে অতীতে অন্য কোনও দেশের সেনাপ্রধান পদমর্যাদার কারও সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতির বৈঠকের নজির মনে করতে পারছেন না অনেকেই। ফলে এই বৈঠক নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে যথেষ্টই কৌতুহল ছিল। তবে হোয়াইট হাউসের ঘোষণার পর সেই কৌতুহল মিটেছে।

সম্প্রতি পহেলগাঁও কাণ্ড ও তারপরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পর্বে সক্রিয় হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে চারদিন ধরে সংঘাত চলার পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ভারতের দাবি ছিল, পাকিস্তানের অনুরোধ মেনে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে তারা। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাক দুই দেশ যে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চলেছে এই খবর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন। এরপরে ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেন, তিনি উদ্যোগী হয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছেন। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করলেও ট্রাম্পকে থামানো যায়নি। এদিন হোয়াইট হাউসের বক্তব্যে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের তরফে ভারতের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে ট্রাম্পকে দেওয়া হয়েছে। যেই কৃতিত্বকে হাতিয়ার করেই আপাতত নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের স্বপ্ন দেখছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *