উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা নেই। সেটা আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দুই দেশের এই সংঘর্ষবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই কৃতিত্ব দিয়েছে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতির মূল কাণ্ডারি মনে করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে শাহবাজ সরকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের শাহবাজ সরকার। এই ঘোষণার পরেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন পাকিস্তানের বেশ কিছু সমাজকর্মী ও লেখক। তাঁরা মনে করছেন গাজায় গণহত্যা এবং ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইজরাজেলের এই কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির পিছনে ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা মানেনি মোদি সরকার, সেখানে শাহবাজ সরকার কীভাবে ট্রাম্পকে কাণ্ডারি মনে করছেন, তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন সেদেশের বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী।
The nomination of President Donald Trump for the 2026 Nobel Peace Prize by the Authorities of Pakistan is a deeply misguided and ethically hole determination.
Citing his mediation within the India-Pakistan ceasefire, this transfer ignores his troubling file of supporting genocidal…— Senator Allama Raja Nasir (@AllamaRajaNasir) June 21, 2025
পাকিস্তানি সাংবাদিক ও লেখক জাহিদ হোসেন বলছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, সরকার এমন একজন ব্যক্তির জন্য নোবেল পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে, যিনি গাজায় ‘গণহত্যা’ সমর্থন করেছিলেন এবং ইরান আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ট্রাম্প তো ইরানের উপর ইজরায়েলের আক্রমণকে চমৎকার বলেছেন। প্রয়োজনে ইরানের উপর হামলা চালানোরও হুমকি দিয়েছেন বারবার। পাকিস্তান সরকার তাঁকেই কি না নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে… পাকিস্তান সরকারের এই পদক্ষেপ খুবই দুঃখজনক।’
Ingratiation can’t function coverage. It’s unlucky that the government is recommending Trump for a Nobel peace prize. A person who has backed Israel’s genocidal struggle in Gaza & known as Israel’s assault on Iran as “glorious”. This transfer doesn’t mirror the views of the individuals of Pakistan.
— Maleeha Lodhi (@LodhiMaleeha) June 21, 2025
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের দূত ছিলেন মালিহা লোধি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জনগণের মতামতকে প্রতিফলিত করে না।’ পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী রিদা রশিদ বলেন, ‘ট্রাম্প চাইছেন বলেই গাজায় গণহত্যা এখনও চলছে। পশ্চিম এশিয়া আরেকটি যুদ্ধ চলছে। কারণ ট্রাম্প তার আহ্বান জানিয়েছেন। তার পরেও পাকিস্তানের ‘পাপেট’ সরকার ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে একাধিক বিরোধী দল। সেই দেশের সংসদের সদস্য আল্লামা রাজা নাসির পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং নীতিগতভাবে ‘ফাঁপা সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।