উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আবার ইরান নিয়ে অবস্থান বদলে ফেললেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এক দিন আগেই ইরানে ক্ষমতা বদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে ইরানে শাসকবদল নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি বলে থাকি, বলেছি। কিন্তু আমি এটা চাই না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি সব কিছু শান্ত দেখতে চাই।’ তাঁর কথায়, ‘শাসকবদলের সময়ে বিশৃঙ্খলা হয়। আমরা সেই বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’
যদিও যুদ্ধের শুরতে ইজরায়েল ও আমেরিকা দুজনই দাবি করে, ইরানের পরমাণু গবেষণা এবং পারমাণবিক পরিকাঠামো তাদের হামলার লক্ষ্য। সেখানে সরকার ফেলে দেওয়া বা শাসক গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার কোনও পরিকল্পনা নেই। ইরানের শীর্ষনেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই কোথায় রয়েছেন, তা তাঁরা জানেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে খামেনেইকে হত্যা করা তাঁদের পরিকল্পনার অংশ নয় বলে দুই নেতাই জানিয়েছিলেন। সোমবার অবশ্য অন্য সুর শোনা যায় ট্রাম্পের গলায়।
দুপুরে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাঁর। পূর্ব নির্ধারিত সেই বৈঠকের ঠিক আগে সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘ওখানে কেন শাসক পরিবর্তন হবে না? এই বাক্যটির ব্যবহার বোধহয় রাজনৈতিকভাবে ঠিক নয়। কিন্তু ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী যদি দেশটিকে আবার মহান করতে (মেক ইরান গ্রেট এগেন) না পারে, তাহলে তাহলে শাসক পরিবর্তন হবে না কেন?’ ট্রাম্পের পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তবে কি আমেরিকা ও ইজরায়েল এবার জোট বেঁধে ইরান থেকে খামেনেই শাসককে নিশ্চিহ্ন করার দিকে এগোবে।
অবশ্য ট্রাম্পের মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যে আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটি হেগশেথ। তিনি বলেন, ‘এটা কোনও শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের লক্ষ্য ইরানের পরমাণু পরিকাঠামো।’ ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, ‘ইরানকে অবশ্যই পরামাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ন্যাটো দেশগুলি দীর্ঘদিন ধরে একমত। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ শক্তিতে সই করার জন্য আমরা ইরানকে আবেদন জানাচ্ছি।’ ইউক্রেন যুদ্ধেও ইরান সক্রিয় বলে এদিন দাবি করেছেন রুটে। তিনি জানান, রাশিয়াকে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান। ওইসব ড্রোন ইউক্রেনের বসতি এলাকাগুলিকে ধ্বংস করতে কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া।