Domjur Assault Case | ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে অশালীন কাজ করানোর অভিযোগ, ফেরার ডোমজুড়ের মা ও ছেলে

Domjur Assault Case | ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে অশালীন কাজ করানোর অভিযোগ, ফেরার ডোমজুড়ের মা ও ছেলে

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের নামে হাওড়ার ডোমজুড়ে কমবয়সি মেয়েদের দিয়ে অশালীন কাজ করাতেন মা ও ছেলে (Domjur Assault Case)। এই নিয়ে রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পানিহাটির বাসিন্দা এক তরুণী। এরপরই উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খান। মেয়েটি ও তাঁর পরিবারের দাবি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে ডোমজুড়ে বার ড্যান্সারের কাজ করানো হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। তেইশ বছরের ওই তরুণী এও জানান, সেখানে থাকার সময়েই তিনি শুনতে পান তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। সবটাই হবে রাতের অন্ধকারে। এ কথা শোনা মাত্রই ওই তরুণী পালিয়ে আসেন। মারধরের জেরে বর্তমানে ওই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি। এরপর তদন্ত এগোতেই আরিয়ান ও শ্বেতার একধিক কাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসে।

জানা গিয়েছে, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে পর্নোগ্রাফি বানাতেন অভিযুক্ত শ্বেতা খান। তাঁকে সাহায্য করত ছেলে আরিয়ান। তাঁদের একটি ইউটিউব চ্যানেলও আছে। ইশারা এন্টারটেইনমেন্ট নামে ওই চ্যানেলে বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা হত। এমনকি এলাকায় মধুচক্র চালানোর অভিযোগও উঠেছে ওই মা ও ছেলের বিরুদ্ধে।

গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠলেও শ্বেতা আর আরিয়ানের খোঁজ এখনও মেলেনি। এই আবহে অভিযুক্তরা যে পাড়ায় থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগ ছিল শ্বেতা খান আর আরিয়ানের। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ওরা প্রচুর প্রভাবশালী। তৃণমূলের তাবড় নেতা থেকে ফাঁড়ি পুলিশ সকলের সঙ্গে ওঠাবসা। শ্বেতার ফেসবুক ঘেঁটে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে অংশ নেওয়ার একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা সব জানতাম। তাও বলতে পারিনি। অনেক প্রভাবশালী লোকজন আসতেন। রাতেও আসতেন তাঁরা। আর ওর বাড়ির সামনে গাড়ি পার্কিং করে রাখতেন….আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল বড় দল। কে কোথায় কার সঙ্গে মিশে কী করছেন তাঁর সঙ্গে গোটা দলের তুলনা করা চলে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *