দিনহাটা: বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে যখন ক্লাস চলছে, তখন পাশের খালি শ্রেণিকক্ষের বাঁশের সিলিংয়ে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। ক্লাস চলায় বিষয়টি ভ্রুণাক্ষরেও জানতে পারেননি শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা। অবশেষে আগুন (Hearth) লাগার বিষয়টি চোখে পড়তেই চিৎকার শুরু করেন গ্রামবাসীরা। এতেই সম্বিত ফেরে শিক্ষকদের। বুধবার দিনহাটার (Dinhata) ঝুড়িপাড়া-১ নং এসসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তবে এদিন অল্পের জন্য বড়সড়ো বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ পড়ুয়ারা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় শিক্ষকরা যে যার শ্রেণিকক্ষে পড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ বাইরে থেকে গ্রামবাসীদের চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। এরপর চিৎকার শুনে শিক্ষকরা বাইরে এসে দেখেন প্রি-প্রাইমারির শ্রেণিকক্ষের বাঁশের সিলিংয়ে আগুন লেগেছে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন দেখে খুদে পড়ুয়ারা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যদিও শিক্ষকদের তৎপরতায় তাদের প্রথমে স্কুল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। যদিও ততক্ষণে গ্রামবাসী ও শিক্ষকদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে এসে যায় আগুন। তবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সিলিংয়ের অনেকটা অংশই পুড়ে গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘এদিন ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকারে বুঝতে পারি কিছু হয়েছে। এরপর ক্লাস বেরিয়ে দেখি প্রি-প্রাইমারির শ্রেণিকক্ষের সিলিংয়ে আগুন লেগেছে। এরকম পরিস্থিতিতে সকলে মিলে আগে পড়ুয়াদের সরিয়ে ফেলি। এরপর গ্রামবাসীদের সাহায্যে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরবর্তীতে দমকলও এসে পড়ে।’ ওই শ্রেণিকক্ষে এদিন ক্লাস হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত বলে জানান তিনি। তবে প্রধান শিক্ষকের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাইরে থেকে ধোঁয়া লক্ষ্য করতেই বুঝতে পারি যে আগুন লেগেছে। এরপরেই শিক্ষকদের জানিয়ে সকলে মিলে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসি।’ যদিও এদিনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই।