দিনহাটা: শিলিগুড়ি, ময়নাগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় এটিএম ডাকাতির ঘটনা অহরহ শোনা যায়। দিনহাটা শহরেই মাঝেমধ্যে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার দিনহাটা শহরে রাতের অন্ধকারে এটিএমগুলোর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। দিনহাটা শহরের পুঁটিমারি এলাকা থেকে শহরের মধ্যবর্তী স্থানে এবং দোলাবাড়ি এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম কাউন্টার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেশিরভাগ কাউন্টার এখন নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বেশিরভাগ এটিএমেই নেই কোনও পাহারাদার বা নিরাপত্তাকর্মী। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড়ো অপরাধ।
এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহলের অধিকাংশ। শহরের বাসিন্দা নিমাই সাহা জানান, রাত বাড়তেই শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেই সময় এটিএমগুলো একেবারে শূন্য অবস্থায় পড়ে থাকে। যে কোনও মুহূর্তে চুরির আশঙ্কা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় দেখা গিয়েছে রাত দশটার পর থেকে বেশিরভাগ এটিএম কাউন্টার একেবারে ফাঁকা পড়ে থাকে। না থাকে কোনও প্রহরী, না থাকে ভেতরে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শহরের পাঁচ মাথার মোড়েই রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম। সেই এটিএমে গেলে লক্ষ করা যাবে, রাতেরবেলা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাশেই রয়েছে আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। তবে, শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএমগুলোর কাউন্টারে একেবারেই নিরাপত্তা বা নিরাপত্তারক্ষী নেই।
অপরদিকে, শহরের গোধূলি বাজার এলাকাতেও রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম রয়েছে। সেখানে লক্ষ করলে দেখা যাবে নিরাপত্তাহীনভাবে রয়েছে ব্যাংকের এটিএমগুলি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএমে দিনেরবেলা নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও, রাতেরবেলা একেবারেই নিরাপত্তা থাকছে না। সেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সঞ্জীব জয়সওয়ালের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করা হলেও, তাঁর সময় নেই বলে এড়িয়ে যান।
শহরের গোধূলিবাজার এলাকাতেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম অবস্থিত। সেখানে দিনেরবেলা নিরাপত্তা থাকলেও, রাতেরবেলা সেভাবে কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে লক্ষ করা যায় না। যদিও, সেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শৌভিক রাও বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তারক্ষী রাতে পাহারা দেন।’
দিনহাটা থানা জানিয়েছে, রাতেরবেলা তারা নজরদারি চালায়। তবে এটিএমে নিরাপত্তা দেওয়া মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দায়িত্ব। তাদের পক্ষে যতটা করা সম্ভব, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি, এটিএমগুলিতে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী। রানা বলেন, ‘এর আগেও বহুবার মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষগুলিকে জানানো হয়েছে এটিএম এবং ব্যাংকের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য।’