দিনহাটা: শনিবারের ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে দিনহাটা-১ ব্লকের ওকরাবাড়ির বাসিন্দা সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সোমবার ছিল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। পরীক্ষার্থী তসলিমা খাতুনের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি করা হয়। তাঁদের ওই দাবি মেনে নেয় পুলিশ। সেইমতো এদিন পুলিশের গাড়িতে চেপে পরীক্ষা দিতে যায় তসলিমা। পরীক্ষা শেষ হলে ফের পুলিশের গাড়ি করে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার আত্মীয়ের বাড়িতে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তসলিমার বক্তব্য, ‘ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছি। বাড়ি গেলে ফের আমার ওপর হামলা হতে পারে। তাই পরীক্ষার পর ফের আমি আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাব।’ শনিবার রাতে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তসলিমার ওপর হামলা সহ মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ওই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা। তসলিমার পরিবারের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রবিবার ওই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পিন্টু খন্দকার সহ নয়জনের বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার দিনভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইসি জয়দীপ মোদক বলেন, ‘ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’অপরদিকে তসলিমার স্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ দেব হাসপাতালেই তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেইমতো এদিন তসলিমার হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষা দিতে অসুবিধা হতে পারে, একথা চিন্তা করে রবিবার রাতে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যায় তসলিমা। তসলিমার বাবা মোন্নাফ খন্দকার বলেন, ‘আমার মেয়ের হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিতে অসুবিধে হত। তাই আমরা ওকে আত্মীয়র বাড়িতে রেখেছি। এছাড়াও পুলিশের কাছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’